পাতা:বিবিধ প্রসঙ্গ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জগতের জন্ম মৃত্যু।
১২৩

শত জগৎ আনন্দে হাসিতেছে, কত শত ভাবে তরঙ্গিত হইতেছে। না হইবে কেন? আমার জগৎ যতই প্রকাণ্ড, যতই মহান্ হউক্ না কেন, “আমি” বলিয়া একটি ক্ষুদ্র বালুকণার উপর তাহার সমস্তটা গঠিত। আমার সহিত সে জন্মিয়াছে, আমার সহিত সে লয় পাইবে। সুতরাং আমি কাঁদিলেই সে কাঁদে, আমি হাসিলেই সে হাসে। তাহার আর কাহাকেও দেখিবার নাই, আর কাহারও জন্য ভাবিবার নাই। ত্যাহার লক্ষ তারা আছে, কেবল আমার মুখের দিকে চাহিয়া থাকিবার জন্য। একজন লোক যখন মরিয়া গেল, তখন আমরা ভাবি না যে একটি জগৎ নিভিয়া গেল। একটি নীলাকাশ গেল, একটি সৌরপরিবার গেল, একটি তরুলতাপশুপক্ষীশোভিত পৃথিবী গেল।