বিবিধ সমালোচন। وی যন্ত্রণা! তৃতীয়াঙ্কে সেই যন্ত্রণার উপযুক্ত চিত্র প্রণয়নের উদ্যোগেই প্রথমাঙ্কে কবি এই প্রণয় চিত্রিত করিয়াছেন। এই প্রণয় সৰ্ব্ব প্রফুল্লকর মধ্যাহ্নস্বৰ্য্য—সেই বিরহ যন্ত্রণ ইহার ভাবী করালকাদম্বিনী,—যদি সে মেঘের কালিমা অনুভব করিবে, তবে আগে এই স্বর্য্যের প্রখরতা দেখ। যদি সেই অনন্ত বিস্থত অন্ধকারময় দুঃখসাগরের ভীষণ স্বরূপ অনুভব করিবে,তবে এই সুন্দর উপকুল,—প্রাসাদশ্রেণীসমুজ্জল, ফলপুষ্প পরিশোভিত বৃক্ষবাটিকা পরিমণ্ডিত, এই সৰ্ব্বসুখময় উপকূল দেখ । এই উপকূলেশ্বরী সীতাকে রামচন্দ্র নিদ্রিতাবস্থায় ঐ অতলস্পশা অন্ধকারসাগরে ডুবাইলেন। আমরা সেই মনোমোহিনী কথার ক্রমশ: সমালোচনা করিব । অঙ্কমুখে, লক্ষ্মণ রাম সীতাকে একখানি চিত্র দেখাইতেছেন। জনকাদির বিচ্ছেদে দুৰ্ম্মনায়মান গর্ভিণী সীতাব বিনোদনাথ এই চিত্র প্রস্তুত হইয়াছিল। তাহাতে সীতার অগ্নিগুদ্ধি পর্য্যস্ত রামসীতার পূর্ব বৃত্তান্ত চিত্রিত হইয়াছিল। এই “ চিত্রদর্শন” কেবল প্রেমপরিপূর্ণ—স্নেহ যেন আর ধরে না। কথায়ই এই প্রেম । যখন অগ্নিশুদ্ধির কথা উল্লেখমাত্রে রাম, সীতাবমাননা ও সীতার পীড়ন জন্য আত্মতিরস্কার করিতেছিলেন—তখন সীতার কেবল “ হোদু অজ্জউক্ত হোদু-এহি প্রেক্খহ্ম দাব দে চরিদং”—এই কথাতেই কত প্রেম! যখন মিথিলাবৃত্তান্তে সীতা রামের চিত্র দেখিলেন, তখন কত প্রেম উছলিয়া উঠিল! সীতা দেখিলেন, “অন্মছে দলস্তনবনীলুপপলসামলসিনিদ্ধমসিণসেহিমাণমংসলেণ দেহমোহগ্ৰগেণ বিন্ধঅখিমিদতাদদীসমাধসোন্মস্বন্দরসির অনা
পাতা:বিবিধ সমালোচন (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
