পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবযান ১২৯ —ঐ হোল। ওই মেয়েটি কে ? —মেয়েটি টুম্ব । ভাল নাম যেন প্রমীলা— পুষ্প হেসে বল্লে—তা তো বুঝলাম, ওদের কে ? কি সম্বন্ধ ও বাড়ীর সংসারে ? যতীন কিছু বঙ্গে না, সরল পুষ্প কত কথা জানে না সংসারে । ওর নিম্পাপ মনে— দরকার কি ? পুপ আপন মনেই যেন বলে—কিন্তু ওই বৃদ্ধ ভদ্রলোকটি ওর মধ্যে কেন ? ওঁকে দেখে কষ্ট হয়। এখনও ভোগের নেশা এত ! পরকালের চিন্তা করবার সময় হয়নি আজও ? —তোমার মত সবাই হবে ? বাদ দাও না, বাজে কথা বলে কেন ? পুষ্প দুঃখিত কণ্ঠে বল্লে—আমার বাবার মত দেখতে । সত্যিই কষ্ট হোল। ভগবানের দিকে মন দেবার ওঁর সময় যে পার হয়ে গেল । —তোমার তাতে কি ? বডড বাজে কথা তোমার পুপ— —আশাবোঁদি ঘুষিয়ে পড়চে । —কি হবে ওর পুপ ? সত্যি কথা বল । তুই আমার চেয়ে অনেক বেশি দেখতে পাস । —দেখতে পাই কে বলেচে ? —আমি সব জানি— পুপ গম্ভীর স্বরে বল্পে-কেউ কিছু নয়। মানুষের মিথ্যে অভিমান। তিনি যা করবেন, তাই হবে। তার কাছে প্রার্থনা করি এসো দুজনে । —এখানে ? —এখানেই । তার নামে সব পবিত্র হয়ে যাবে । তিনি এখানেই কি নেই ? কে বলেচেন নেই ? তিনি তার অসীম কৃপা ও*করুণায় এই হতভাগিনী আশাবোঁদির মঙ্গল করুন । করুণাদেবীর বিন সাহায্যেও আজকাল পুপ মহলোকের সর্বত্র যাতায়াত করতে পারে, এমন কি আরও উধ্বতর লোক পর্যন্ত ৷ যতীনকে অত উচ্চস্তরে কোনো শক্তিমান আত্মার বিনা সাহায্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে পুষ্প অনিচ্ছাসত্ত্বেও একাই মাঝে মাঝে যায়। সে বলে এতে অনেক কিছু সে দেখে, শোনে ও শেখে । অনেক ভাল ভাল আত্মার সংস্পর্শে এসে মানসিক ও আত্মিক শক্তির প্রসার হয় । ... • সেদিন যতীন ছাড়লে না, বল্লে—আমি যদি উচ্চ স্তরে অজ্ঞান হয়ে পড়ি—তুমি সেখানে আমাকে ফেলে যেও । যতদূর জ্ঞান থাকে ততদূর নিয়ে যাও না ? আমিও বেড়িয়ে দেখতে, জানতে ভালবাসি না কি ভাবচো ? রেলভাড়ার টিকিট তো লাগচে না । —ভাখে যতু-দা, এখনও পৃথিবীর ওই উপমা ও চিন্তার ধরনটা ছেড়ে দাও। তোমায় এই জন্যেই বারণ করি বার বার পৃথিবীতে যেতে । ওখানে নানা আসক্তি, ইচ্ছা, ভোগপ্রবৃত্তি সর্বত্র ছড়ানো রয়েচে পৃথিবীর আকাশে বাতাসে। স্কুল দেহ ভিন্ন ওই সব ইচ্ছা পূরণ করা যায় না। هة---b .3ة .fa