পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ما يل 奪 হিসেবেই লিখতে শুরু করেছিলেন । ‘মুলোচনার কাহিনী’ লেখকের নিজের প্রিয় গল্প ছিল, গল্প হিসেবেও এটি এবং ‘স্বহাসিনী মাসিমা” উল্লেখযোগ্য । এ ধরনের কাহিনী যে,গল্প হয় তা বিভূতিবাবু ছাড়া কেউ ভাবতেও পারত না । ‘মূলো—র্যাডিশ–হর্স র্যাডিশ তার তামাশপ্রিয়তার নিদর্শন। যার কথাবার্তা বা আচরণে বিরক্ত হতেন--তার সম্বন্ধেও লেখকের মনে একটু ক্ষেহের স্থান থাকত—এই-ই বিভূতিবাবু। বাক্স-বদল নিতান্ত সাধারণ কাহিনী এবং অতি পুরাতন ‘ট্ৰিক’–দৈব-যোগাযোগের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই ধরনের কাহিনী বিভূতিবাবু ছাড়া আর কারও হাতে গল্প হয়ে উঠত কিনা সন্দেহ। বিভূতিবাবুর অনাড়ম্বর রচনাকৌশল, যা পড়লে একবারও মনে হয় না যে তিনি কোন গল্প লেখার চেষ্টা করছেন—অথচ যে সম্বন্ধে তিনি অতি সচেতন ছিলেন (যারা তাকে জসচেতনশিল্পী বলেন-Unconscious artist—তারা বিভূতিবাবুকে কিছুই বোঝেন নি), তা ছিল বিভূতিবাবুর ব্রহ্মাস্ত্র, সেইখানেই বিভূতিবাবু সিদ্ধ শিল্পী । সে ধরনের লেখা আর কেউ এ দেশে আজ পর্যন্ত লেখেন নি, অন্য দেশে লিখেছেন বলেও জানি না, নাটকীয়তা না থাকা সত্ত্বেও মনে গভীর দাগকাটার মতো গল্প। এই শ্রেণীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গল্প হ’ল "তুচ্ছ' (১ম খণ্ড রচনাবলী দ্রষ্টব্য )। গজেন্দ্রকুমার মিত্র