পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপলখণ্ড * চাপা দেবার চেষ্টায় বল্লাম—ও এমনি গায়ের লোক । আর একজন বল্পে—তোমার ভাকনাম কি গোপাল নাকি হে গ্রামে ? -ईश-नां-७ऎ- *p বুড়ী বল্লে—কাল রাত্তিরে কি গরম পড়ল। গোপাল, ঘুতে পেরিলি কাল । মুই চোখ বুজিনি সারারাত । বেশ করনি । ভাল বিপদেই পড়া গেল যে সকালবেলা । আজ না এলে কি চলতো না বুড়ীর । , বন্ধুটি পুনরায় বল্লে—ও গোপাল বলচে কাকে হে ? --ইয়ে - হঁ্যা, আমাকেই বলচে— কথা শেষ করে ঈষৎ হেসে মাথার দিকে দুটি আঙুল দেখিয়ে ইঙ্গিত করে বল্লাম--মাথাটা কথা অনুযায়ী কাজের সামঞ্জত রাখতে গিয়ে বুড়ীর দিকে চেয়ে যেমন স্বরে লোকে দুর্দান্ত পাগলকে সাত্বনা দেবার ও স্তোকবাক্য প্রয়োগ করার চেষ্টা করে তেমনি স্বরে বলি—আজ যাও, বডড ব্যস্ত আছি—বুঝলে কলকাতার বন্ধুরা সব এসেছেন। ईj| ফল স্ববিধেজনক হোল না। বুড়ী একগাল হেসে বল্লে—আজ কি এনিচি বলে দিকি গোপাল ? এই দ্যাথো— এতক্ষণ টের পাইনি যে বুড়ী তার পেছন দিকে একটা ময়লা কাপড়ের পুটুলি লুকিয়ে রেখেছে । সেটা সামনের দিকে এনে খুলতে খুলতে বল্পে—সেই যে মেয়েটা মোরে মা বলে, সে দুটাে চিড়ে কুটলো। আমি বল্লাম, ও কি কুঁটচি ও বল্লে—কামিনী-সরু ধানের ভাল চি'ড়ে। তোমার গোপালের জন্তি দুটো নিয়ে যেও এখন, কাল বেন-বেলা । আমার মনড বডড খুশি হলো—ত সেও আলচে। সেও তোমারে দেখতি চায়। বড্ড দ্বাধী কাঙাল মেয়েডা। ধান ভেনে চিড়ে ফুটে একরকম করে চালাচ্ছে । o এক রামে রক্ষা নেই, বুড়ীর কথা শেষ হোতে না হোতে দেখি একটি আধফর্সা মধ্যবয়সী স্ত্রীলোক অদূরে আমতলায়, এদিকেই আসচে। আরও বিপদে পড়লাম এই জন্তে যে, ঠিক সেই আমার জ্ঞাতি খুড়োমশায়কেও এদিকে আসতে দেখা গেল ! সর্বনাশ ! তার বাড়ীতে আমার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা, আর তিনি যদি জানতে পারেন যে এদের হাতে তৈরী চিড়ে বা খাবার জিনিস আমি খাই—তাহলেই তো এ পাড়াগাঁয়ে হয়েচে । চিড়ে যে ওরা আজই প্রথম এনেচে একথা কি তিনি বিশ্বাস করবেন ? আজি দুধ, কাল চি ড়ে— রুক্ষ স্বরেই বল্লাম—এখন যাও না—দেখচো না ব্যস্ত আছি ? —চিড়ে ক’টা নেবার একটা কিছু ভাও বাবা । —ওসব এখন নিয়ে যাও—ইঁ্যা, হ্যা—পরে হবে । এখন যাও— বুড়ী একটু অবাক হয়ে বল্পে—ত চিড়ে কটা—