পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԵ- विफूडि-ब्रध्नांबलौ —আজ আমার শালীও বলছিল, গ্র্যাগুৰুৰ্ড লাইনের নিমিয়াঘাট বলে একটা স্টেশন থেকে পরেশনাথ পাহাড় যাওয়া যায়। তাই যাবে ? খরচ কম হয় । •আবার রাত দশটা পর্ষপ্ত আলোচনা। ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম, না পরেশনাথ পাহাড় ? কোনটা সস্তা ? হিসেব করে টাইমটেবিল পড়ে দেখা গেল তাতেও পাঁচশ থেকে ত্রিশ টাকা খরচ পড়বে জন পিছু ৷ তার কমে হবে না –ও একরকম করে যোগাড় হয়ে যাবে এখন, বললেন শঙ্কুবাৰু। আশ্চর্যের বিষয়, রোগী এবং রোগ ছু-ই হঠাৎ কলকাতা শহরে বডড কমে গেল । সারাদিনে আগে তবুও দুটো টাকাও হতে এখন পাচ আনার নক্সভমিকাও ৰিক্রি হয় না। রোগী দেখা দূরের কথা, ওষুধ বিক্রি পর্যন্ত বন্ধ । তার ওপর শম্ভূ ভাক্তাবের মামাতো ভাই বিধু এসে হাজির, সঙ্গে তার স্ত্রী। দেশে চলছে না আদে, এতবড় ডাক্তার পিসতুতে তাই থাকতে তারা কি না খেয়ে মরবে ? গোপীকৃষ্ণবাবুর অবস্থাও যে ভাল তা নয়। ইতিমধ্যে একদিন তার ভাইঝি-জামাই ছুটে ইলিশ মাছ পাচ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে হাজির ৷ গোপীবাবুর স্ত্রী এসে বললেন—ওগো গুনছো, জামাইয়ের ও-মঙ্গছের টাকা দিয়ে দিও যাবার সময় । গোপীবাৰু রেগে উঠে বললেন—কেন ? আমি কি বলেছিলাম আমার বাসায় মাছ কিনে না আনলে আমরা সৰাই না খেয়ে মরতে বসেছি ? পাচ টাকা খরচ করে একজোড়া মাছ না জানলে চলছিল না ? —ছিঃ ও-কথা বলতে নেই। জামাই মানুষ, এনে ফেলেছেন যখন তখন সে দাম দিতেই হবে। সবাই মিলে মাছটা তো খাওয়া হয়েছে ? জামাই একা খান নি । —থান নি তাই কি ? আমার সংসারে এক পো খয়রা মাছ কিনলে চলে যায় ছ’ আনা দিয়ে। পাচ টাকার মাছ কিনে একদিন খেয়ে আমার লাতটা কি হলো বলতে পাৱ ? যতই উণ্টে তর্ক করুন, তাকে শেষ পর্যন্ত স্থবোধের মত মাছের দামটা জামাতা বাবাজির হাতে গুজে দিতে হলো যখন তিনি যাচ্ছেন। মিটে গেল ব্যাপার । আটটা টাকা বুক করে রাখা ছিল, তার মধ্যে ইলিশ মাছের ঠ্যালায় গেল পাচটা টাকা অকারণে বেরিয়ে । শতু ডাক্তারের ডিসপেনসারিতে বলে দুই বন্ধু কথা বলছেন । এবার কিন্তু ভ্রমণের আলোচনা নয়, কোথাও যাওয়া তাদের হবে না দুজনেই বুঝেছেন। বোটানিক্যাল গার্ডেনের বস্তাপচা আটা ময়দার কথা উঠেছে। ভ্রমণের সম্বন্ধে একটা কথাও কেউ বলেননি আজ । কাল ষষ্ঠী । - 蠟 - হঠাৎ গোপীকৃষ্ণবাবু উলখু কখতে করতে পকেট থেকে একখানা রঙীন কার্ড বের করে বললেন – ই –এই বলছিলাম কি, আমাদের আপিসের বন্ধু সরকার কাল আপিসে বন্ধের দিন এখানা দিয়ে, গেল। ওদের গ্রাম লাঙলপোতায় সর্বজনীন দুর্গোৎসব হবে তারই নেয়ন্তন্ন। রামায়ণ-গান হবে, চণ্ডী হবে দু'রাত। যাৰে ? বেশি দূর নয়, বারাসত