পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ বিভূতি-রচনাবলী নম্বমামা স্বন্ধ হেসে চুপ করে রইল। তারপর আমার দিকে শাস্ত দৃষ্টিতে চেয়ে বঙ্গে— আমি আসল বস্তু পাওয়ার চেষ্টায় আছি। এতে যে যা বলে বলুক। আমি পাগলই হই चांद्र छांशंणहे ट्हे-हि-श्-िहि-श्-िईशां८ब्र अँल्लेिौ ? শেষের কথাগুলো আমার কানে একটু অসংলগ্ন-মত ঠেকলেও নম্বমামার ওপর আমার শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। কি যেন একটা ওর মধ্যে আমি পেলাম, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখিনি। ওর মুখের চেহারা যেন অন্য রকম হয়ে গিয়েছে। লোকে টাকাকড়ি ঘর-জমি আকড়ে পড়ে আছে দেখচি আমার চারিপাশে, খুড়শাশুড়ীকে দেখেছি গাছের সামান্ত একটা আম যদি গাছের তলা থেকে কোনো-বাড়ীর ছেলে কুড়িয়ে নিয়ে যায় তবে ঝগড়া করে পাড়া মাত করেন। গায়ের মধ্যে দেখেচি এক হাত জমি হয়তো এগিয়ে বেড়া দিয়েছে কেউ, তাই নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা দু-তিন বছর ধরে চলেচে । এমন আবহাওয়ার মধ্যে নক্ষমামা মাহৰ হয়েও স্বতন্ত্র, ওর কাপড়ে-চোপড়ে, খাওয়ায়, বিষয়-আশয়ে কোনো আসক্তি নেই ; পৈতৃক বিষয় আছে, কিন্তু ভায়েদের দিয়ে বসে আছে সর্বস্ব, একটা পয়সাও চায় না । আমার স্বামী এসে দু-চারদিন রইলেন । স্বামীর ওপর আমার কেমন একটা মায়া হয়। এর মুখের দিকে কেউ যেন চায় না আমার শাশুড়ী ছাড়া—তাও তিনি বুড়ো হয়েছেন, দেওরের কাছে কোনো কথা তার খাটে না । আমাদের গ্রামেও তার তেমন খাতিরযত্ন নেই। বল্পেন—এই গায়ে একটা ঘর করলে ভালো হয় । আমি বল্লাম-কেন, শ্বশুরবাডী বাস করবে ? কেউ কিছু বলবে না ? —বলুক গে। কাকার ওখানে আর ভালো লাগে না । —দেখ ভেবে । —তোমাদের গায়ের লোকগুলো যেন কেমন কেমন । ভালো করে কথাই বলে না। আমার রাগ হলো, বল্লাম—তাডুঘোটা জামাইকে কে খাতির করবে শুনি ? স্বামী হেসে চোখ টিপে বল্লেন -ইঃ ! রোজ রোজ রাত্তিরে খাজা খাওয়ার সময় তো খুব ভালো লাগে ? দু-একদিন পরে উনি চলে গেলেন । ধাবার সময় আমার হাতে তেরো আনা পয়সা দিয়ে বলে গেলেন– এই পয়সা দিয়ে খাবার কিনে খেও । মাসখানেক থাকে, তারপর এসে নিয়ে যাবো । আর আসেন নি তিনি। সেই মাসের শেষের দিকে পুরনো আমাশা রোগে তিনি আমার লিখির সিদ্ধির আর হাতের শাখা ঘুচিয়ে ইহলোক ত্যাগ করলেন । বাবা চিঠি পেয়ে আমাদের প্রথমে কিছু বলেননি, তারপর দু'দিন পরে মাকে একদিন বল্পেন—হঁ্যা একটা কথা, জামাইয়ের বড় অস্থখ, চিঠি পেয়েচি। মা আড়ষ্ট স্বরে বলে উঠলেন—সে কি গো ! এতক্ষণ বল নি কেন ? হাটে চিঠি পেলে ? কই দেখি চিঠি ।