পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Öğ বিভূতি-রচনাবলী ফেলিল। ননীবালা আশ্চর্য হইয়া বলিল—কত টাকা ? পাচ হাজার ? . —ই গো। পাচ হাজার। —একটা কথা বলি। যখন ও টাকা খরচ করে নি এতকাল, তখন ওতে আর হাত দিও না । পরের টাকা । আমি তো বঁচিবই না— —কেন, তুমি খুব বাচবে, বাচবে— —ওগো, আমি বঁচিব না। খোকা অামায় ডেকেছে । স্ত্রীর মৃত্যুর পরে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে তিনটি বৃদ্ধ পিসির হাতে মানুষ হইতেছিল, কিন্তু বৃদ্ধাও শোকের ঘায়ে কাবু হইয়া পড়িয়াছিল। বুড়ী একদিন বলিল--কালী, তুই আবার বিয়ে কর । —কেন পিসি ? 蠻 —তোর এমন বয়সটা কি ? তা ছাড়া, এই বুড়ো বয়সে এত বড় সংসার আমি দেখতে পারি ? বিয়ে কর তুই । —খেতে দেব কি বিয়ে করে। তুই পাগল, পিসি ? ও আর হচ্ছে না। ছেলেমেয়েগুলো পর হয়ে যাবে। 曙 বৈশাখের প্রথমে বৃদ্ধ পিসি কোথা হইতে এক সম্বন্ধ জুটাইরা আনিলেন । তাহারা বর ও ঘরবাড়ী দেখিয়া গেল। তাহদের মধ্যে একজন বলিল—মশাই, আপনি অনেক টাকা কুড়িয়ে পেয়েছেন, একথা সত্যি ? —হঁ্যা, সত্যি । —কত টাকা ? —ত বলব না। তবে অনেক টাকা । —কুতদিন পেয়েছেন ? —ত প্রায় এক বছর হতে চলল । —কেউ আসেনি টাকা নিতে? আপনি তো অনেক জায়গায় বলেও রেখেছেন । —মাঝে মাঝে লোক আসে। কিন্তু ঠিকমত বলতে পারে না কত টাকা। কি অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, তাও বলতে পারে না। তা ছাড়া, তাদের টাকা নয়, মুখ দেখলেই বোঝ। যায়। ও সব জুয়োচোর। —টাকা খরচ করেননি মোটেই ? —ঞ্জীর অমুখের সময় সামান্ত কিছু। সে আমি যে করেই হক পুরিয়ে দেব। ও টাকা আমার নয়, আমার স্ত্রী মৃত্যুর সময় বারণ করে গিয়েছে ও থেকে খরচ করতে । পরের টাকা গচ্ছিত আছে ভাবি । যার টাকা সে এসে নিয়ে যাক । —আপনি বড় সাধুলোক দেখছি। --সাধুটাধু নই বাড়জ্যে মশাই। আগে খরচ করি নি পুলিশের ভয়ে। এখন খরচ করি