পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

é२ दिङ्कडि-ब्रध्नावलौ আছে বইএর মধ্যে একটি ইংরেজি-পড়া ছোকরার কথা আছে এবং পড়ার ভঙ্গিতে মনে হত উক্ত ইংরেজি-পড়া ছোকরা খুব ভাল লোক নয় । , উমাচরণ মাস্টার আমাদের দিকে চেয়ে সগর্বে বলতেন—এই বই পড়ে গোবরডাঙার সেজবাবুর শালা কি বলেছিলেন জান ? বলেছিলেন, উমাচরণবাবু, আপনি কালে গিরিশ ঘোষের সমান লেখক হবেন।—বুঝলে ? আমি বলেছিলাম—গিরিশ ঘোষ কে পণ্ডিত মশাই ? উমাচরণবাবু অমুকম্পার হাসি হেসে আমার দিকে চেয়ে বলেছিলেন–গিরিশ ঘোৰ ? জান না ? হু ! কি-ই বা জান ? ● আমি লজ্জায় চুপ করে থাকি । কি উত্তর দেব ? যখন সত্যিই জানি নে গিরিশ ঘোষ কে। নামও কোনদিন শুনি নি! উমাচরণ র্তার এই মূল্যবান প্রহসন আমাদের কাছে বিক্রি করবার চেষ্টা করতেন এবং বিক্রি অনেক করেছিলেনও। প্রত্যেক ছাত্রের বাড়ী একখানা বা দুখান করে আঙ্কেল গুডুম ছিলই। মাইনের টাকা দিলে খুচরো ফেরত দেওয়ার রীতি ছিল না তার । বলতেন—কত বাকি ? সাত অান ? নাও একখানা ভাল বই নিয়ে যাও । বাড়ী গিয়ে পড়তে দিও সবাইকে । একদিন পিসিমা বললেন—হঁ্যারে, মাইনের টাকা দিলাম, ন আনা পয়সা ফেরত দিলি CF ? —না পিসিমা । মাস্টার মশাই বই একখানা দিয়েছেন তার বদলে। —কি বই ? --আক্কেল গুডুম । —ওমা, সে আবার কি বই ? তুই কি বলে সেই বই আনতে গেলি ? যেমন পোড়ারমুখে মাস্টার তেমনই পোড়ারমুখে ছেলে ! বইএর নাম শোন না—“আক্কেল গুডুম’ । কেষ্টর শতনাম পাওয়া যায় তো একখানা আন গে বরং—ও বই ফিরিয়ে দিয়ে আয় । —সে হবে না পিসিম, তিনি ওসব বাজে বই লেখেন না। এ হল প্রহসন। —সে আবার কি রে ? —সে তুমি বুঝবে না। গিরিশ ঘোষের নাম অনেছ । —সে কে আবার ? আমাদের গায়ে তো ও নামের কেউ নেই। গগোপুরের লোক নাকি ? • —সে তুমি বুঝবে না। তিনি আমাদের মাস্টার মশায়ের মত প্রহসন বই লেখেন । পিলিমা ধমক দিয়ে বলতেন—তুই চুপ কর বাপু-বড় পণ্ডিত হয়েছিল তুই। আমি জানি নে—ওঁর গাল টিপলে দুধ থেরোয় উনি জানেন—ফাজিল কোথাকার । ওসব গিরিশ ঘোষ সতীশ ঘোষ বুঝি নে—কাল ও বই ফেরত দিয়ে কেষ্টর শতনাম আনতে পারিস ভাল, নয়তো ন আনা ফেরত আনবি—যা—