পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& विङ्कडि-ब्रध्ननांवली স্বলোচনার মাকে জিজ্ঞাসা করিলাম—আচ্ছ, কখনও এর পরে প্রকাশণার পত্র-টত্র অসত না ? বুড়ী দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিল—কখনও না। মেয়ে প্রকাশদ বলতে অজ্ঞান। ভাবত, 'প্রকাশ আসবে ফিরে। আমার কতদিন বলেছে এ-কথা। প্রকাশ দেখে খুনী হবে বলেই তো দমদমায় অতিথিশালা খোলা হল ওর স্বামীকে নিয়ে এসে । আমি অবাক হইয়া বলিলাম—অতিথিশালা ! সে কি রকম ? —মেয়ের খেয়াল | এদিকে প্রকাশের নাম ক্যাম্বেলের হোস্টেলে লেখানো, ওদিকে দমদমার অতিথিশালা খোলা প্রকাশকে খুশী করবার জন্তে—প্রকাশ তখন মরে ভূত হয়ে গিয়েছে। —ওর স্বামীকে আনলেন বুঝি আবার ? —আমরা আনি নি বাবা । ক্যাম্বেলে একজন রুগী এসেছিল মুলোচনার শ্বশুরবাড়ীর গ থেকে । সে গিয়ে খবর দিলে। স্বামী এসে পড়ল, মাপ চাইলে—আমরাও জায়গা দিলাম এই ভেবে যে স্বামী ভিন্ন বাইবে পদে পদে বিপদ। স্বাধীন হয়েও রূপ নিয়ে সৰ্ব্বদা সশঙ্কিত। কেউ মিত্র নেই, সবাই শক্র । আজ যে বন্ধু, কাল সে শত্রু । ওর স্বামীকে নিয়ে দমদমায় বাসা করা গেল। যে যায় সেই খায়, তাই নাম হল অতিথিশালা । আমার সঙ্গে এই সময়েই মুলোচনার দেখা হইয়াছিল। সে-কথাও আমি বুদ্ধাকে বলিলাম। বৃদ্ধ বলিল—তোমার কথা বলেছিল এখন আমার মনে হচ্ছে বাবা । তার পর ও চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রাকৃটিস করতে লাগল। বেশ দু-পয়সা আয় হল । দুটি ছেলে হল । জামাইয়ের এক কঁড়ি দেন ছিল দেশে, সব ও শোধ দিলে । সেই সময় একদিন কে এসে বললে দমদমার বাসায়—প্রকাশ মারা গিয়েছে। শুনেই মুছা হয়ে পড়ে গেল—সেই থেকে বুকের রোগ। তাতেই শেষে মারা গেল। খবরটা শোনার পর মোটে ছটি মাস বেঁচে ছিল । দুজনেই অনেকক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়া রহিলাম। বৃদ্ধ অন্তমনষ্কভাবে বলিল—সন্মিসি হয়ে যাব বলে আপদ বিদেয় করবার জন্তে আট বছর বয়েসে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। সে কোথায় চলে গিয়েছে আজ, আমি এই পয়ষটি বছর বয়েসে এখনও ভুগছি বন্ধনে। সে স্বামীকে ভাল করলে, তাকে মদ ছাড়ালে, মানুষ করলে— করে মরে গেল । জামাইও মারা গিয়েছেন। এখন আমি যদি মরে যাই ছেলে দুটো নিরুপায় । কোথায় দাড়াবে। রাস্তায়—গবর্নমেণ্টের রাস্তায় ! আমার দিকে চাহিয়া বলিল—ইদানীং আমাদের বড় মুখ হয়েছিল। সে তুমি দেখ নি। খাট, আলমারী, বাসন,—ম্বলোচনা প্র্যাকটিসে বেশ রোজগার করত—টাকা জমিয়ে এসব করেছিল। শৌখিন ছিল খুব, সে তুমিও তো দেখেছ। ময়লা কি কুত্ৰ জিনিস টু-চোখে দেখতে পারত না। হ্য, ভাল কথা মনে পড়ল—জামাইয়ের হাতে অনেক টাকা পড়ল মেয়ে মারা যাওয়ার পরে। জামাই তেজীরতি করতে গিয়ে হাওড়ায় জমি বন্ধক রেখে ছ হাজার