পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধু মাষ্টার Երծ সারবার নামটি নেই, বেড়েই চলেছে। দোকানে আসি যাই—মনেও বল পাই নে, শরীরেও না । ডাক্তারের কথায় মাগুরমাছের ঝোল খাই, কাচকলা আর পটল দিয়ে—একবেলা দুখানি মুজির রুটি । * —কোথাও চেঞ্জে যান না কেন ? —ব্যবসা ফেলে যেতে পারি নে। আবার নতুন চুন সিমেন্টের আড়ত খোলা হয়েছে, এসব কার ওপর দিয়ে— রায়সাহেবের কথার স্বরে এবং মুখের চেহারায় একটা জিনিস বেশ মুস্পষ্ট হল আমার কাছে, তার মনে আনন্দের অভাব এবং একটা ভয়ের ভাব। কথাবার্তার মধ্যে কণ্ঠের যে মিহিমুর ধ্বনিত হচ্ছে, তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মৃত্যুভয়, জড়িয়ে রয়েছে নৈরাপ্ত ও মূঢ় অন্ধতা। এত ঐশ্বৰ্য্য থেকেও ভোগের তৃপ্তি নেই। যতক্ষণ আমি সেখানে বসে ছিলাম, ঘনশুমবাবুর মুখে আমি আনন্দের রেখা খোঁজবার বহুবার ব্যর্থ চেষ্টা করেছি। আনন্দের পরিবর্তে বরং ভয়ট এত বেশি দেখেছি যে লোকটার কাপুরুষতার ওপরে আমার ঘূণা জন্মেছে। এত টাকা থেকেও লোকটা সত্যিকার অমুখী । afarazza că ațâ nra eige-Men cannot live by bread alone—ÉqGIT qGপুজি নেই যেখানে, সেখানে শুধু টাকার পুজি মানুষকে অমৃতের পুত্রত্ব দান করে সাধ্য কি তার ? তারও চার বৎসর পরে এবারের কথা । বাড়ীতে এসেছি দশ-বার দিন কি তার বেশি । কাজের গোলমালে অন্য কোথাও যেতে পারি নি—কেবলমাত্র একদিন বল্লভপুর বাজারে,অতি অল্প সময়ের জন্তে রায়সাহেবের গদিতে গিয়েছিলাম। কুণ্ডু মশায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল এই পৰ্য্যস্ত, কথাবাৰ্ত্ত বিশেষ কিছু क्ष्म्न नि । একদিন সন্ধ্যাবেলা বাড়ীতে বসে আছি, একজন লোক এসে বললে—শুমবাবু এ বাড়ীতে থাকেন ? লোকটার খালি পা, হাতে একটা লাঠি আর হারিকেন লণ্ঠন। 齡 —কোথা থেকে আসছ ? —আজে বাবু, প্ৰণাম হই। বল্লভপুরের আড়তের কুণ্ডু মশায় আপনাকে ডেকেছেন। তিনি বাচেন না, আপনাকে এখুনি যেতে হবে । —কুণ্ডু মশায় বাচেন না! কেন, কি হয়েছে তার ? —বাবু, তিনি আজ সাত দিন শয্যাগত। জর, কাসি— —তা আমি তো ডাক্তার নই? আমি কেন যাব ? —তিনি সন্ধ্যে থেকে কেবল আপনার কথা বলছেন। আমায় বলে দিলেন, যে-করে হোক নিয়েই আসতে হবে তাকে । আমি একটু বিরক্ত না হয়ে পারলাম না। অনেক দিনের আদর্শনে কুণ্ডু মশায়ের ওপর বি. 和.ーサ (२ (و --س