পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছায়াছবি లీ স্বদেশী করবার জঙ্কে, আবার কেন ? —ব্রহ্মা কে ? —বরিশালের অশ্বিনী দত্ত । —তিনি কে গো ? --নাম শোনো নি ? মস্ত বড় স্বদেশী ? মহাপুরুষ লোক । পুবদিকে ফরসা হয়েচে । কাক কোকিলের ডাক শুরু হোল ডালে-ডালে। রামধন পো এইটুকু তথ্য সংগ্রহ করেই মহা হৃষ্ট মনে গঞ্জের বাজার থেকে চলে এসেছিল। তখন দুবলহাটের গঞ্জে কলকাতার ফড়ে মহাজনেরা বেগুন মাপাতে আড়াই টাকা মন–কিন্তু জিনিস-পত্তর সস্তা কত, একসের একটা কাতলা মাছ দু-আন দিয়ে কিনে হাতে ঝুলিয়ে নিয়ে এল দুবলহাটির বাজার থেকে । কোথায় গেল সে সব দিন । তারপর এল নতুন ধরনের যাত্রার যুগ । • জুডি উঠে গেল, গান হোত নতুন ধরনের, সাবেক ধরনের পালাও আর নেই। পালার শেষে আজকাল রাধাকৃষ্ণের যুগল মিলন একদম উঠে গিয়েচে ~রামধনের যেন কেমন কেমন লাগে । ঠাকুর-দেবতার পালা আর হয় না— এখন কি সব এসেচে—তার মানে ভালো বুঝতেই পারে ন৷ রামধন। সাজ-পোশাকেরও তেমন জাক-জমক নেই । বেলা তিনটের সময় বামুনদ'র বড় বিলের পাডে এসে পৌছলে দু-জনে। ওপারে বড় একটা বটগাছ, কবীড় ঘাসের ঝোপ সবুজ হয়ে উঠেচে, টোপাপান আর কলমীর দাম ডাঙার কাছে, বেশি জলে পদ্মফুলের খেলা, ঘন বর্ষ। এ বছর, তারও পরে ধারা শ্রাবণ, দিনরাত বৃষ্টির কামাই নেই । o ফণি বললে—বাবা, একদিন ঘুনি পাতবা বামুনদ’তে দ্যাখে মাছের বহর । —কি মাছ রে ? —জলের ধারে এসে স্থাখে। ঐ স্থাখে পানার দামের তলায়! রামধন সবুজ ঘাসের ওপর দাড়িয়ে লক্ষ্য করে দেখে বললে—মায়া আর ধেয়— —দু-একটা বড় গজাড় দু-বার এ্যালানি দিয়েচে— —কত বড় ? —দু-সেরের ওপর হবে । . —ত এখন আর করি কি বল ; তেঙ্গর হয়ে গেল। যাত্রা শুনতে গেলি মাছ আর ধরা एग्न न चांछ । —পার হবা কি করে ? বডড জল বেড়েচে বিলের । —তালের ডোঙা-টেঙা আখ নিনি! কোনোদিকে আছে কি না ? বিলের ধার দিয়ে দিয়ে প্রায় একপোয়া পথ গিয়ে তবে নাজির মালভের কৰাবাগানের নিচে