পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছায়াছবি ২৭ রামধন ছেলেকে নিয়ে একটা দোকান থেকে জল চেয়ে নিয়ে ওকে খেতে দ্বিলে, ওর চোখেমুখে দিলে। কিছু স্বস্থ হোলে ওকে গরম এক পোলাচ ছপয়সা দিয়ে খাওয়ালে। বললে—দুটো চিড়ে ভিজিয়ে দি বাবা— —না এখন কিছু খাবো না । চলো যাত্রা দেখি । —কি করে যাবি ওখানে ? আর যাবে না । ঢের হয়েচে । —চলে দূর থেকে দেখবানি— আসর থেকে বহুদূরে লোকের ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে ওরা সতৃষ্ণ নয়নে আসরের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখতে লাগল্পে । কলকাতার দলের যাত্রা । গান করছিলো একটা ছোকরা হাত-পা নেড়ে । সাহেব সেজে কে একজন দাড়িয়ে খুব চেচিয়ে কি বলছিলো, রানী দাড়িয়ে ছিলেন সামনে । কিছু শোনা यांझिल न] । মাঝে মাঝে সামনে এসে লোকের দল দাড়িয়ে যায়, আব কিছুই নজরে পড়ে না। আবার একচমক হয়তে দেখা যায়—রানী চোখে আচল দিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কদাচন। সারারাত ওদের এভারেই কাটলে । স্রেফ দাড়িয়ে । ভোর বেলা যাত্রা ভাঙলে রামধন ছেলেকে নিয়ে বাড়ীর দিকে রওনা হোল । সমস্ত রাস্ত বলে বলে এল—কি পস্কার! যাত্রার মতন যাত্ৰা ! দেখলি চোখ জুড়িয়ে যায় ! সত্যি। না হয় আর কলকেতার দল বলেচে কি সাধে ? সতীশ আজ বছর চারেক আগে সতীশ আমাদের স্কুলে ছাত্র ছিল । টেস্ট পরীক্ষায় উপরি-উপরি দু-বছর ফেল করে সে স্কুল ছেড়ে দেয় । এর পর আর অনেক দিন ওকে দেখি নি। 最 একদিন আমহাস্ট স্ট্রীট দিয়ে যাচ্চি, কে একজন এসে পায়ের ধুলো নিয়ে নমস্কার করে বলল —ভাল আছেন স্তার ? মুখ তুলতেই দেখলুম সতীশ। অনেকদিন পরে দেখা, খুশি হলুম। কুশল প্রশ্নাদির আদান প্রদানের পর বললুম --কি কর আজকাল ? e . সতীশ বিনয়ে মুখখন কাচুমাচু করে বললে—আঞ্জে, আজকাল দমদম এরোড্রোমে পাইলটের কাজ শিখচি । আশ্চৰ্য্য হলুম, খুব ཝཱ[ཨེs হলুম। একজন বাঙালী তরুণ যুবক টাইপিস্ট কেরানিগিরি, টেলিগ্রাফ বা হোমিওপাঁথি শিক্ষার গতানুগতিক পথ ছেড়ে দিয়ে এরোপ্লেন চালানো শিখচে —এ সত্যিই আনন্দের বিষয়। তার ওপয়ে সে আবার আমাদেরই স্কুলের ছাত্র । মনে মনে