পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& e বিভূতি-রচনাবলী রূপ—অথচ মুখে কেমন একটা দুঃখ ও বিষাদের ছায়া—তাতে মুখশ্ৰী আরও স্বন্দর হয়েছে দেখতে । স্বচ্ছ নীল জাভা তার সর্বাঙ্গ দিয়ে বার হয়ে শিলাখণ্ডটাকে পর্যন্ত যেন দামী পাস্নায় পরিণত করেচে । করুণাদেবীও সেদিকে চেয়ে চমকে থেমে গেলেন। বরেন—ওঁকে চেন না ? বহু সৌভাগ্যে দেখা পেলে । বহু উচ্চস্তরের দেবী, চল, দেখা করিয়ে দিই । তোমাদের সঙ্গে দেখা করিয়ে দিলে উনি বিশেষ খুশি হবেন এই জন্যে যে, উনি প্লেমের দেবী । ওঁর কাজ পৃথিবীতে শুধু চলে না, বহু গ্রহে উপগ্রহে, স্কুল ও আত্মিক জগতে, বিশ্বের বহু দূর দূর নক্ষত্রের মধ্যে যেখানেই জীব বাস করে—সেই সব স্থানেই দুটি প্রেমিক আত্মার মিলন সংঘটন করিয়ে বেড়ান। উনি একা নন, ওঁর দলবল খুব বড়। অনেক সঙ্গিনী আছে ওর। উনি অসীমশক্তিময়ী দেবী, আলাপ হোলে হঠাৎ কিছু বুঝতে পারবে না। অত বড় প্রাণ, অত উদার প্রেম-ভালবাসা ভরা আত্মা তোমরা কখনো দেখনি। খুব সৌভাগ্য তোমাদের যে চোখে ওকে দেখতে পেয়েচ অাজ, এর একমাত্র কারণ আজ তোমরা পৃথিবীতে ওই আত্মাটির উদ্ধারের সাহায্য করেচ, সেই পুণ্যে এই মহাদেবীকে চোখে দেখার সৌভাগ্য লাভ করলে। নইলে সাধ্য কি তোমাদের ওকে দেখতে পাও ? এসো আমার সঙ্গে, আলাপ করিয়ে দিই । ওরা এসে সেই দেবীর সামনে প্রণাম করে দাড়িয়ে রইল । —আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেচে–করুণাদেবী বজেন-এরা পুথিবীর লোক, মেয়েটি একে ভালবাসতো বড়। বাল্যপ্রেম। মেয়েটি আগে মারা যায়, তারপর এ লোকে সে বহুদিন প্রতীক্ষায় ছিল । সম্প্রতি মিলন হয়েচে । প্রণয়দেবী স্নেহপূর্ণ দৃষ্টিতে ওদের দিকে চেয়ে হাসিমুখে বল্লেন--আমি জানি, সখী । এর নাম পুষ্প, ওর নাম যতীন। আমি ওদের ওপরে দৃষ্টি রাখিনি ভেবেচ ? এই একটি সত্যিকার প্রেমের উদাহরণ । যেখানেই সত্যিকার জিনিয়া, সৈখানেই আমি আছি। চেষ্টা করি তাদের মিলিয়ে দিতে, কিন্তু সব সময় পারিনে। আরও ওপরে রয়েচেন কর্মের দেবতারা—লিপিকদের দল। র্তাদের প্যাচ ছাড়ানো কত কঠিন তোমার তো জানতে বাকী নেই ! এদের পূর্বজন্মের কর্ম ছিল ভাল, তাও এই ছেলেটির গোলমাল রয়েছে এখনও, পরে দেখতে পাবে। তা এনে ভালই করেচ । আমার মণ্ডলীতে এর আস্বক, কারণ এরা আমারই দলের উপযুক্ত লোক । পুষ্প ও যতীন উল্লসিত হয়ে উঠল। প্রেমের ব্যাপারে কি সাহায্য তাদের দিয়ে হবে তারা জানে না, কিন্তু একথা তাদের প্রাণের কথা যে তারা নিজেদের জীবন ধন্ত মনে করবে ঘদি পৃথিবীর একটি ব্যর্থ প্রণীর জীবনেও তারা সার্থকতার আলো জালাতে পারে। এই তাদের অস্তরের কথা, যারা যে দলের, এতদিন পরে যতীন ও পুষ্প যেন সগোত্র আত্মার আত্মীয়মণ্ডলীকে আবিষ্কার করলে। যতীন আশ্চর্ষ হয়ে ভাবছিল, বিশ্বের কি অদ্ভূত কার্যপ্রণালী ! অদৃশ্ব জগতের কি বিরাট সংঘরাজি, কি বিরাট কর্মপ্রবাল । পুষ্প ভাবছিল—কিন্তু করুণাদেবীকে ছেড়ে ওরা কি করে BBB S BH CD DHH DD BBBBSDD BB BB D MLLLSS DDB BSDHHBBD