পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবযান br> অন্তত তার তে মনের অদ্ধিসন্ধি খুজে বার করেচেন। এখানে কিছু ভাব হবে না । পুষ্প হঠাৎ বলে উঠলো--মনে পড়েচে, ইনি বৈষ্ণর আচার্য রঘুনাথ দাস । বেল পড়ে যেন অপরাহ্র হয়ে এসেচে। অপূর্ব পুষ্প-মুবাসে আশ্রম আমোদিত। বৈষ্ণব সাধু বল্পেন—বিকেল বড় ভাল লাগে, তাই স্বষ্টি করি। নইলে এখানে আর সকাল বিকেল কি ? সূর্য নেই, চন্দ্র নেই, অন্ধকারও নেই। হ্যা, কি সংশয় তোমার, যতীন ? এখনও যায়নি, অন্ধকার বড় একগু"য়ে । তাড়ানো যায় না । 哆 —প্রভু কি করি বলুন। আপনি বৈষ্ণব আচার্য, কতদিনের লোক আপনি ? —মহাপ্রভুর সমসাময়িক । সপ্তগ্রামের নাম শুনেছিলে ? সেই সপ্তগ্রামে বাড়ী ছিল আমার । --অগনি এখানে কেন ? অার সৰ কোথায় আপনার দলের ? সাড়ে তিনশো বছর ধরে এ পুতুলখেলা নিয়ে— • —তোমার মন এখনও কাচা । আমি তোমাকে তো বলেচি, মুক্তি চাইনি। সপ্তগ্রামে হরিদাস শিক্ষা দিয়েছিল ভক্ত চায় ভগবানের প্রতি ভক্তি র্তার প্রতি যেন মন থাকে । আমাদের তাতেই আনন্দ। র্তার ভজন আরাধনা নিয়েই আছি। খুব স্বথে আছি। মহাপ্ৰভু ভগবানে মিলিয়ে গিয়েচেন, তিনি নারায়ণের অংশ, মাঝে মাঝে আমাদের আহবানে প্রকট হন, এই আশ্রমে আসেন। তার পৃথিবী থেকে এখানে আসার দিনে আশ্রমে উংসব হয়, সে উপলক্ষে বড় বড় বৈষ্ণব আচার্য এমন কি জীবগোস্বামী মীরাবাঈ পর্যন্ত আসেন। ওঁরা আরও উচ্চ লোকে আছেন। অনেকে জীবকে শিক্ষা দিতে দু-একৰা ইতিমধ্যে পৃথিবীতে নেমেছিলেনও। --আর একটা কথা আপনাকে— Jo --বুঝেছি। তুমি যা জিজ্ঞেস করবে তার ग्रंथ উত্তর চাও, না সে জগৎ দেখতে চাও ? অর্থাৎ তুমি জানতে চাইচ, পৃথিবী ছাড়া অন্য জীবলোক আছে কি না –কেমন তো ? বহু ৰন্থ আছে। বিশ্বের অধিদেবতার ভাণ্ডার অনন্ত । কোনো কোনো জগৎ পৃথিবী থেকেও তরুণ, সজীব । সেখানে সব মানুষ অত্যন্ত বেশি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে, তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে মরে যায়। আবার বৃদ্ধ জরাগ্রস্ত জগৎ আছে—সেখানে মাহৰ পৃথিবীর চেয়ে অনেক দীর্ঘজীবী, ধীরেস্থস্থে জীবনের কাজ করে । পৃথিবীর হিসেবে যার বয়স পচিশ বছর, সেও বালক। যাট বছর যার বয়স, গে নব্যযুবক। যাদের উন্নতি হতে দেরি হবে জানা যাচ্চে পৃথিবীতে, এমন সব আত্মাকে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করতে দেওয়া হয় না, দিলে সে পূর্ব জন্মের জীবদেরই পুনরাবৃত্তি করবে মাত্র। স্বতরাং তাদের এই সব ধীর সানন্দ প্রৌঢ় পৃথিবীতে পাঠানো হয় । অনেকদিন সময় পায় বলে শেখবার ও শোধরাবার অবকাশ ও স্বযোগ পায় । বিশ্বের দেবতার এমন আইন, সকলকেই অনন্ত মঙ্গলের পথে যেতে হবে—যে সহজে না যাবে, তাকে দুঃখ দিয়ে পীড়ন করে চোখ ফোটাবেনই। সেসব পৃথিবীতেও জীবশিক্ষার জন্তে উচ্চস্তরের আত্মার নেমে যান দেহ গ্রহণ করে । পৃথিবী থেকেও বেশি কষ্ট পেতে হয় তাদের সে সবখানে । কিন্তু 輸 من دس-br . ة هfa