পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

षहैषं खण se এখানে লুকিয়ে থাকলে কার সাধ্য খুঁজে বার করে ? কে কাকে চেনে এখানে ? অজ্ঞাতঃ বাস করতে হলে এমন স্থান আর নেই । বাসা ঠিক হয়ে গেল। লেবুতলা এক ক্ষুত্র গলির মধ্যে বাসা। আপাততঃ থাকবার জন্তে, ডাক্তারি এখান থেকে চলবে না, বড় রাস্তার ধারে তার জন্তে ঘর নিতে হবে বা একটু ঠাও হয়ে বসে কোন একটা ডিসপেনসারিতে বসবার চেষ্টা করতে হবে। বাড়ীটা ভালো, ছোট হলেও অন্য কোন ভাড়াটে নেই এই একটা মস্ত সুবিধে । এই রকম বাড়ীই আমি চেয়েছিলাম। ওপরে ছুটি ঘর, দুটিই বেডরুম হিসেবে ব্যবহার করা যায়, আলো হাওয়া মন্দ নয়। বাড়ীওয়াল একজন স্বর্ণকার, এই বাড়ী থেকে কিছুদূরে কেরাণী-বাগান লেনের মোড়ে তার সোনারুপোর দোকান। বাড়ী আমার দেখা হয়ে গেলে সে আমায় জিজ্ঞেস করলে আমি কবে আসবো। আমি জানালুম আজই আসচি। চাবিটা কোথায় পাওয়া যাবে ? সে ওর সোনারুপোর দোকান থেকে চাবিটা নিয়ে আসতে বললে । এই বাড়ীতে পান্না আর আমি নিভৃতে দু’জন থাকবো ? পান্নাকে এত নিকটে, এত নির্জনে পাবো ? ওকে নিয়ে এক বাসায় থাকতে পাবো ? এত সৌভাগ্য কি বিশ্বাস করা যায় ? আনন্দে কিসের একটা ঢেউ আমার গলা পৰ্য্যস্ত উঠে আসতে লাগলো। আজই দিনের কোন এক সময়ে পান্না ও আমি এই ঘরে সংসার পেতে বাস করবে। এই ক্ষুত্র দোতলা বাড়ীট-বাইরে থেকে যেটা দেখলে ঘোর অভক্তি হয়—সে সৌভাগ্য বহন করৰে এই बांग्लौकँहे । না, হয়তো কিছুই হবে না । পার্শাসবে না, পান্নার মালী পথ আটকাবে—ওকে আসতেই বাধা দেবে । বাড়ীওয়ালা আমার দেরি দেখে নিচে থেকে ডাকাডাকি করতে লাগলো। সে কি জানবে আমার মনের ভাব ? বাড়ী দেখে যখন বেরুলাম তখন বেলা একটা। খিদে পেয়েচে খুবই, কিন্তু আনন্দে মন পরিপূর্ণ, খাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই। বৌবাজারের মোড়ের একটা শিখ-হোটেল থেকে দুখান মোট রুটি আর কলাইয়ের ডাল, বড় এক গ্লাস চা পান করি । চা জিনিসটা আমার সর্বদাই চাই। অন্ন জাহার না করলেও আমার কোন কষ্ট হয় না, যদি চা পাই। ঠিক করলাম বাসাতে পায়াকে এনে আজই ওবেলা সৰ্ব্বাগ্রে আমার চায়ের সরঞ্জাম কিনে আনতে হবে। পান্ন। চা করতে জানে না ভালো, ওকে শিখিয়ে নিতে হবে চা করতে। বেলা তিনটের পর পান্নামের বাসাতে গিয়ে পৌছলাম। পান্না জম্বোর ঘুচ্চে, কাল রাত্রি জাগরণের ফলে। পারার মালীও মুচ্ছে ভিন্ন ঘরে। পান্নাকে আমি ঘুম থেকে