পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5२ विङ्कडि-ब्रध्नांबणी —নীলিকে তুমি আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তাকে বুঝিয়ে বলবো। —ঠিকানা দাও, আমি এখুনি যাবো । সন্ধ্যার আগেই ঠিকানা অনুযায়ী নীলিকে খুঁজে বার করলাম। একটা বড় খোলার বস্তির একটা ঘরে নীলিমা ও তার বড় দিদি স্বশীল থাকে। আমাকে দেখে প্রথমতঃ চিনতে পারে নি নীলিমা । আমি সংক্ষেপে আমার পরিচয় দেওয়ার পরে জ্বশীল এসে আমায় নিয়ে গেল ওদের ঘরের মধ্যে । দু’টো বড় বড় তক্তপোশ একসঙ্গে পাতা, মোটা তোশক পাতা বিছানা, কম দামের একটা ক্লকঘড়ি আছে ঘরের দেওয়ালে এবং যেটা সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয়, খানকতক ঠাকুর-দেবতার ছবি। স্বশীলার বয়েস পচিশ ছাব্বিশ হবে, মুখে বসন্তের দাগ না থাকলে ওর মুখ দেখতে একসময় মন্দ ছিল না বোঝা যায় । 鼎 স্বশীলা থাকাতে আমার বড় অস্ববিধে হল । স্বশীলার অস্তিত্বের বিষয় আমি অবগত ছিলাম না, ওর সামনে সব কথা বলা উচিত হবে না হয়তো । নীলিকে নির্জনে কানো কিছু বলবার অবকাশও তো নেই দেখছি। মুশকিলে পড়ে গেলাম। স্বশীলা ভেবেছে আমি হয়তে ওদের জন্যে কোনো একটা বড় মুজরোর বায়না করতে এসেছি। ও খুব খাতির করে আমার সঙ্গে কথা বলতে লাগলো। বললে—চা খাবেন তো ? —তা মন্দ নয় । —বস্কন, করে নিয়ে আসি । নীলি, বাবুকে বাতাস কর । —না না, বাতাস করতে হবে না । বোসে এখানে । সুশীলা ঘর থেকে চলে গেলেই আমি সংক্ষেপে নীলিমাকে সব কথা বললাম। আমাদের ঠিকানাও দিলাম। নীলিমা অবাক হয়ে আমার দিকে চেয়ে রইল। বললে—আপনি তো মঙ্গলগঞ্জের ডাক্তার ছিলেন ? * , —হ্যা | —আপনি ডাক্তারি করবেন না ? —কোথায় করবো ? সে স্ববিধে দেখচিনে। —তবে চলবে কি করে ? —সে জন্যেই তো তোমাকে ডেকেছে পাল্লা। তুমি গিয়ে দেখা করতে পারবে ? স্বাবে আমার সঙ্গে ? —কেন যাবো না ? —তোমার দিদি কিছু বলবে না তো ? —ন না। দিদি কি বলবে ? আমি এখুনি যাবো । তবে দিদিকে মিথ্যে কথা বলতে হবে । বলবেন, আমি মুজরোর বায়না করতে এসেছি, ওকে একবার পারার কাছে নিয়ে ৰাবো। পান্নাকে দিদি চেনে না। * - —মিথ্যে কথা আমি বলতে পারবে না। .তুমি ঘা হয় বলে।