পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী ذچاؤ. মেয়েছেলে, আমরা হচ্ছি পাড়াগায়ের লোক, কথা বলতেই সাহসে কুলোয় না। আপনি স্বনি করে দিতে পারেন, পাঁচ টাকা পাবেন । নায়েববাবু বলে দিয়েচেন । —আপনি এখানে অপেক্ষা করুন, আমি এসে বলচি । পান্নাকে গিয়ে সব কথা খুলে বললাম। পান্না হেসেই খুন। বললে—চলে বাপু, এখান থেকে আমরা চলে যাই। আমায় বুঝি নীলি পেয়েছে এরা? আর তোমায়ু বলি, তোমার রাগ হয় না এ সব কথা শুনে ? তুমি কি রকম লোক বাপু ? বারোয়ারিতে নাচের বায়ন, ছুদিন বেশী হয় হোক, কিন্তু এ সব কি কথা ? ছিঃ– —মীচের বায়না ত্রিশ টাকাতেই রাজি তো ? -সে তুমি ঘা হয় করবে। আমি কি বুঝি ? —চল্লিশ বলবো ? --বেশী দেয় ভালো । আমি ফিরে দেখি সাতরাবাবুদের নায়েবমশায়ের চর সেখানেই দাড়িয়ে রয়েচে । তাকে বললাম-হোল না মশাই ৷ —কেন, কেন ? কি হোল ? —উনি কারো বাগানবাড়ীতে যান না। ভালো ঘরের মেয়ে। —তাই নাকি ? —মশাই আমি সব জানি ! ওঁর স্বামী আছেন, একজন বড় ডাক্তার। নাচ টাচ উনি শখ করে করেন । সে ধরনের মেয়ে নন | লোকটা আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইল। আমার কথা বিশ্বাস করলে কিনা জানি নে। অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে চলে গেল। বারোয়ারির কমিটির লোকেরা বললে —কি হোল ? ബ —হোল না মশাই । —কেন ? কি হোল বলুন না ? —চল্লিশ টাকার কমে কত্রী রাজী হবেন না। . —তাই দেবো, তবে আপনার টাকা পাবেন না । ত্রিশ টাকায় রাজি করালে আপনাকে কিছু দিলেও গায়ে লাগতো না আমাদের। —না দেন, না দেবেন ? আমি চেষ্টা করে করিয়ে তো দিলাম । কে একজন ওদের মধ্যে বললে—দাও, ঠাকুর মশাষ্টকে কিছু দিয়ে দাও হে—বেচারি আমাদের জন্তে খেটেচে তো— e ওরা আমাকে একটা আধুলি দিলে। পান্নাকে এনে দেখিয়ে বললাম—আমার রোজগার। তোমার জন্তে পেলাম । পান্না খুশী হয়ে বললে—আমি আরও তোমার রোজগারের পথ করিয়ে দেবো দেখোঁ-- হায় পায় ! এত সরলা বলেই তোমায় আমি ছাড়তে পারি নে।