পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$११ বিভূতি-রচনাবলী ওকে নিয়ে কলকাতা আসবার দিনটা নৌকোঁতে ও ট্রেনে ওর কি আমোদ । ছেলেমানুষের মত খুশী। বললে—এবার ক্যাশ ভাঙ্গো। খুব মান রেখেছে কি বল ? —তা তো বটে। —মোট কত টাকা হয়েচে বলে। তো । -जांडशछेि छैiरु ज'प्रश्नं वांनी । —আর প্যালা ? —সে তুমি জানো । —একুশ টাকা । আমার একটু দুষ্টুমি করবার লোভ হোল । বললাম—সাতরা বাবুদের নায়েবের কথা শুনলে আরও অনেক বেশি হোত— পান্না শুনে মারমুখী হয়ে বললে—ঠিক মাথা কুটবো তোমার পায়ে, অমন কথা যদি বলবে । আমি তেমন নই। ও সব করুক গে নীলি । ছিঃ– রাণাঘাটে গাড়ী বদলানোর সময় বললে—একটা ফৰ্দ্দ করো—কলকাতার বাসায় জিনিসপত্র কিনতে হবে— —কি জিনিস ? —কি জিনিস আছে ? মাছুরের ওপর তো শুয়ে থাকা— —আর ? —চায়ের ভালো বাসন তুমি কিনে আনবে ভালো দেখে। ফাট পেয়ালায় চ খেয়ে • তোমার অরুচি হয়ে গেল। আর একজোড়া জুতো নেবে না ? ওকে আনন্দ দেবার জন্তে বললাম—নেৰো না ? ভালো দেখে একজোড়া নেবে। কিন্তু— —হি-হি—জুতোর নাম শুনে আমনি লোভ হয়েছে। পুরুষ মানুষের ব্যাপার আমি সব জানি । —কি জানো ? —জুতোর ওপর বডড লোভ— —নাকি ? : —আমি যেন জানি নে আর কি ? কলকাতায় পৌছে তিনচার দিনের মধ্যে যতদূর সম্ভব জিনিসপত্র কেনা-কাট কয় গেল । একজোড়া জুতো কেনবার সময় ও আমার সঙ্গে যেতে চাইলে । আমি সঙ্গে নিয়ে গেলাম না। ওর কষ্ট্রাজিত টাকায় দামী জুতো কিনতে চাই নে ৷ কিন্তু ও সঙ্গে থাকলে তাই ঠিক কেনাবে। সস্তা দামের একজোড়া খোলা জুতো নিয়ে এসে বললাম—চমৎকার জুতোএগারো টাকা দাম, তবে আমার এক জানাগুনে লোকের দোকান— —কত নিলে ? —এই ধরে। পাচ টাকা—