পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रेच्छाडि وقاف গদাধর বলিলেন—গৈবি, কাল একবার শরৎ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে । পিসিমার জর হয়েচে । বড় ভূগচেন, এবার নিয়ে বার-পাঁচেক জরে পড়লেন । গৈবি বলিল—পিসিমা কারো কথা শুনবে না বাৰু! আমি বলি, তুমি পুকুরে ছেন কোরবে না, করলেই তোমায় জরে ধরবে। তা, কারো কথা শুনবার লোক নয়। এখন'বে জরাট হলো, এখন কে ভূগবে ? হ্যা ! —ঠিক। তুই কাল সকালেই যাবি ডাক্তারের কাছে। —সকালে কেনো, এখুন বল্পে এখুনই যেতে পারি—হঁ্যা ! —না, থাক, এখন যেতে হবে না। তুই যা। —বাবু, ভাল কথা—এক সাধুবাবাজি আপনার আড়তে গিয়েছিলো ? —ই্যা গিয়েছিল। কেন বলতে ? —ও তো এখানে আগে এলো। বলে, বাৰু কোথায় ? বাবুর সাথে ভেটু করবো। আমি ব'লে দিলাম, বাবু আড়তে আছে—সত্য গিয়েছিলো ঠিক তাহোলে ? —ত আর যাবে না ? একটা টাকার ঘাড়ে জল দিয়ে গেল ! —এক টাকা ! কি হলো বাৰু? —হবে আবার কি ? ফাকি দিয়ে জোর ক’রে নিয়ে গেলে যা হয় ! এই সময় অনঙ্গ চায়েরবাটি হাতে করিয়া ঢুকিতে ঢুকিতে বলিল—কেগা ? কেদিলে ফাকি ? গদাধর হাসিয়া বলিলেন—ঠকবার মজা কি জানো ? যে ঠকে সে তো ঠকেই—আবার উপরন্তু পাঁচজনের কাছে কৈফিয়ৎ দিতে-দিতে প্রাণ যায় ! অনঙ্গ অভিমানের স্বরে বলিল—বেশ, তাহলে দিও ন কৈফিয়ৎ I কে চায় শুনতে ? —না, নী, শোনো ৷ —শুনি তো আমার বড় দিব্যি ! —না যদি শোনাই, তবে আমারও অতি-বড় দিব্যি। অনঙ্গ হাসিয়া বলিল—বলো, কি হলো শুনি ? গদাধর সাধুর ব্যাপার বলিলেন। অনঙ্গ শুনিয়া কেমন একটু অন্যমনস্ক হইয়া গল, পরে কি ভাবিয়া বলিল—তুমি যদি সাধুকে বাড়িতে আনতে তো বেশ হতো। —কেন ? —আমার হাতটা দেখাতাম । —তোমার হাত কি দেখবে আবার ? দিব্যি তো আছো । —দেখালে দোষ কি ? —ওরা কি জানে ? আমার বিশ্বাস হয় না । —তুমি নাস্তিক বলে সবাই তো নাস্তিক নয় । —কি দেখাবে ? আয়ু ? —তাও দেখাতাম বৈকি। দেখাতাম, তোমার আগে মরি কি না