পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झन्छ।छि ጏ¢ፃ —এ আবার কেমন বড় হওয়া ? তোমাকে মেয়েমানুষ পেয়ে ঠকিয়ে নিয়ে গেল টাকাটা । আমি থাকলে••• —যাকৃ, আর কোনো খারাপ কথা মূখ দিয়ে বার কোরো না ! হাজার হোক, আমার দাদা--- | —এক ছিল ? —কেন ? —বলো না । —সে কথা বললে আরও রাগ করবে। সঙ্গে কে একজন মাগী ছিল, আমি তাকে চিনিনে। আমার মনে হলো, ভালো নয়। আমি তাকে ঘরে-দোরে ঢুকতে দিই নি। অমন ধরণের মেয়েমানুষ দেখলে আমার গা ধিন্‌-ম্বিন করে । সে বাইরে এসেছিল। ভদ্রতার খাতিরে চা আর খাবার পাঠিয়ে দিলাম—বাইরে বসে খেলে। —কোখেকে তাকে জোটালে তোমার দাদা ? —কি ক’রে জানবো ? তবে আমার মনে হলো, টাকাটা ওই মাগীকেই দিতে হবে দাদার। ভাবে তাই মনে হলো । দাদা দেনদার, মাগী পাওনাদার—দাদার মুখ দেখে মনে হলো, টাকা না দিলে তাকে অপমান হতে হবে। —ৎসব ঢং অনেক দেখেচি ! ছিছি, আমার বাড়ীতে এই সব কাও ! আর তুমি কি না: —লক্ষ্মীটি, রাগ কোরো না । আমার কি দোষ, বলে ? আমি কি ওদের ডেকে আনতে গিয়েছি ? আমি তাই দেখে দাদাকে এখানে থাকতে খেতে পর্য্যস্ত আহ্বরোধ করি নি! টাকা পেয়ে চলে গেল, আমি মুখে একবারও বলি নি যে, রাতটা থাকে ! আমার গা-কেমন করছিল, সত্যি বলচি, মাগীটাকে দেখে ! —যাক, খুব হয়েচে । আর কোনোদিন যেন তোমার ওই দাদাটিকে. —আচ্ছা সে হবে। তুমি কিন্তু কোনো খারাপ কথা মুখ দিয়ে বার কোরো না, পায়ে পড়ি। চুপ ক’রে থাকে। 鬱 গদাধর আর কিছু না বলিয়৷ চুপ করিয়া গেলেন। এক সপ্তাহের মধ্যে মঙ্গলগঞ্জের কুঠী সম্বন্ধে নিৰ্ম্মল কয়েকবার ভাগাদ করাতে একদিন তিনি নৌকাযোগে কুঠীবাড়ী দেখিতে গেলেন– সঙ্গে রহিল নিৰ্ম্মল। নৌকাপথে দুই ঘণ্টার মধ্যে ঙাহার। কুঠীবাড়ীর ঘাটে গিয়া পৌছিলেন। সে-কালের আমলের বড় নীলকুঠী-ঘাট হইতে উঠিয়া দু’ধারে ঝাউ গাছের সারি, মস্ত বাধানে চাতাল-বা-ধারে সারি সারি আস্তাবল ও চাকর-বকিরদের ঘর। খুব বড়-বড় দরজ জানলা । ঘর-দোরের অস্ত নাই। ঘোড়দৌড়ের মাঠের মত স্থবিস্তীর্ণ ছাদে উঠিলে অনেকদূর পর্য্যস্ত নদী, মাঠ, গ্রাম সব মঙ্গরে পড়ে। দেখিয়া-শুনিয়া গদাধর বলিলেন–জায়গা খুব চমৎকার বইকি।