পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#**ाडि $bو س —সুষমা দিদিকেও নিতে হবে। --নেবো । তুমি যাকে যাকে বলবে, তাদের সবাইকে নেবো । —স্বযম দিদির মত গান কেউ গাইতে পারবে না, দেখলেন তো সেদিন, রুক্মিণীর গানে কেমন জমালে ? —চমৎকার গান—অমন শুনি নি । শচীন পাশ হইতে বলিল—তুমি যা শোনো, সব চমৎকার! গানের তুমি কি বোঝে। হে ? আজ স্থষমার গান শুনো-এখন, বুঝতে পারবে। সত্যি, ওকে বাদ দিয়ে ছবির কাজ চলবে না । একটু বেশি মাইনে চাইচে, তা দিয়েও রাখতে হবে । নীলা, দীপ্তি --ওদের ও দ্যাথো—এখানে ডfক দাও না সব—মিনি, স্ববালা, বড় হেনা, ছোট হেনা . গদাধর ব্যস্তভাবে বলিলেন—না, না, এখানে ডেকে কি হবে ? থাকৃ সব, আমি যাচ্চি । סןf* বাগানের বাড়ীটার সামনেই পুকুর । পুকুরের ওপারে কলমের আমগাছ অনেকগুলি— ওদিকের অংশটা তারের জাল দিয়া ঘেরা। কারণ, এখন আমের বউলের গুটির সময় আসিতেছে—ইজারাদার ঘিরিবার ব্যবস্থা করিয়াছে। কলমবাগান ও পুকুরের মাঝখানে এখনও বেশ ভালো-ভালো গোলাপ হয়। এখানে বাধানে চবুতারায় একটা দল ভিড় করিয়া বসিয়া গল্পগুজব ও হল্লা করিতেছে। শচীন বলিল-অঘোরবাবুকে তাহ’লে ডাকি। আজ দোল-পূর্ণিমা, শুভ দিন—একট। ব্যবস্থা ক’রে ফেল ! যেমন কথা আছে। —অঘোরবাবু এলেচেন ? –এই তো মোটরের শব্দ হলো,—এলেন বোধহয় । স্টুডিওর মোটর আনতে গিয়েছিল কিনা ! & —বেশ, ক’রে ফেল সব ব্যবস্থা । প্রায় পঞ্চাশ বছরের এক শৌধীন প্রৌঢ় লোক, রঙ খামবর্ণ, বেঁটে, একহার চেহারা— মাথার চুলে এই বয়সেও ব্রিলেণ্টাইন মাখানো, মুখে সিগারেট—আসিয়া ঘাটের সিড়ির মাথায় দাড়াইয়া বলিলেন—এই যে, সব এখানে । শচীন ও গদাধর দু’জনে ব্যস্ত হইয়া বলিলেন–আস্কন, আস্থন। অঘোরবাবু, আপনার কথা হচ্ছিল। রেখার দিকে চাহিয়া অঘোরবাবু বলিলেন—তাই তো, আমাদের একটা কথা ছিল। না হয় চলুন ওদিকে । , রেখা অভিমানের স্বরে বলিল-বললেই হয় যে, উঠে যাও, অমন ক'রে ভণিত করবার