পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১ e ৰিভূতি-রচনাবলী শচীন মুখে বলিল বটে, কিন্তু সে সাহল করিয়া শোভার কাছে এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করিতে পারিল না—আজ কাল করিয়া প্রায় দিনপনেরো কাটিল। শোভা কিন্তু স্টুডিও ছাড়িয়া কোথাও গেল না। দিনের পর দিন রীতিমত চাকুরী করিয়া যাইতে লাগিল। তবে শচীন লক্ষ্য করিল, শোভার মুখ ভার-ভার, সে কোনোখানেই তেমন মেলামেশা করে না লোকের সঙ্গে, তবু আগে যাহাও একটু-আধটু করিত, এখন একেবারেই তা করে না। নিজের গাড়ীতে স্টুডিওতে ঢোকে, কাজ শেষ করিয়া গাড়ীতেই বাহির হইয়া যায়। সেদিন তাহার সঙ্গে অল্প কয়েক মিনিটের জন্য কথা বলিবার স্বযোগ ঘটিল অলকার । গাড়ীতে উঠিতে যাইবে শোভা, সামনে অলকাকে দেখিয়া সে একটু অপেক্ষা করিল। অলকা বলিল—কি, আজকাল যে বড় ব্যস্ত, কেমন আছো শোভা ? —ভালোই আছি। তুই যাস নে কেন আমার ওখানে ? —একটু ব্যস্ত ছিলাম ভাই—যাবে শীগগির একদিন । যাক, আর ক'দিন আছে। আমাদের এখানে ? শোভা হাসিয়া বলিল—বরাবর আছি। ঘাড় থেকে ভূত নেমে গেছে ! অলকা খুশী হইয়া বলিল—নেমেচে ? সত্যি নেমেচে ভাই ? —নেমেচে । আচ্ছা, চলি তবে । শচীন অলকার মুখে সংবাদটা শুনিয়া নিতান্তই খুশী হইয়া উঠিল। সেইদিনই সে শোভার ওখানে গেল। মনের উল্লাস চাপিতে না পারিয়া কথfয়-কথায় বলিল—তারপর, একটা কথা আজ অলকা গুপ্তার মুখে শুনে বড় আনন্দ হলো শোভা ! —কি কথা ? কার সম্বন্ধে ? —তোমার সম্বন্ধেই। শোভা বিস্ময়ের স্বরে বলিল—আমার সম্বন্ধে ? কি কথা, শুনি ? —যদিও আমি জানি নে তুমি কেন বেীক ধরেছিলে, ভারতী ফিল্মে যাবার জন্তে—তবুও শুনে সুখী হলাম যে, সে স্থত তোমার ঘাড় থেকে নেমে গিয়েচে । শোভা গম্ভীর মুখে বলিল—ভূত নামে নি নামিয়ে দিয়েছে—জানেন ? শচীন বুঝিতে না পারার ভঙ্গিতে চাহিয়া বলিল—মানে ?. —মানে, এই দেখুন চিঠি । শোভা শচীনের হাতে যে চিঠিখানা দিল, সেখানা অত্যস্ত সংক্ষিপ্ত-টাইপ-করা ইংরেজি চিঠি। তাতে ‘ভারতী ফিল্ম স্ট.ডিও'র কর্তৃপক্ষ দুঃখের সঙ্গে জানাইতেছেন যে শোভারাণী মিত্রকে বৰ্ত্তমানে তাহীদের স্ট,ডিওতে লওয়া সম্ভব হইবে না ! শচীন নিজের চোখকে বিশ্বাস করিতে পারিল না। ফিল্ম, গগনের অত্যুজ্জল বৰুঝকে তারকা মিস শোভারাণী মিত্র দীনভাবে চিঠি লিখিয়া চাকুরী প্রার্থনা করিতে গিয়াছিল ভারতী ফিল্ম কোম্পানির মত তৃতীয় শ্রেণীর চিত্র প্রতিষ্ঠানে, আর তাহার। কিনা-•• ব্যাপারটা শচীন ধারণা করিতেই পারিল না। শোভারাণীর মুখের দিকে চাহিয়া লে জার 導 導