পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ বিভূতি-রচনাবলী আমার সঙ্গে-সঙ্গে সমনজারি করতে পেয়াদা ছুটবে দেশের বাড়ীতে, আর বড়-তরফের ওরা হাসাহালি করবে ! সে-সব হবে না—তাছাড়া আমি আবার একটা কিছু করবার চেষ্টায় আছি । ভড়মশায় বলিলেন—আপনার জন্যে বৌ-ঠাকরুণ কিছু পাঠিয়ে দিয়েছেন, আমার কাছে আছে । ভড়মশায় দেখিয়া একটু আশ্চৰ্য্য হইলেন যে, মনিব টাকার কথা শুনিয়া বিশেষ-কিছু আগ্রহ প্রকাশ করিলেন না ! নিস্পৃহ ভাবে বলিলেন—কত ? —আজ্ঞে, পঞ্চাশ টাকা । গদাধর হাসিয়া বলিলেন—ওতে কি হবে ভড়মশায় ? অামায় হাজার-তিনেক টাকা কোনরকমে তুলে দিতে পারেন এখন ? তাহলে কাজের খানিকট অন্ততঃ মীমাংসা হয়। —না বাবু, সে সম্ভব হবে না। ফোট পাট কিনি ফি হাটে ষাট-সত্তর-বড় জোর একশে৷ টাকার। তাই গণেশ কুগুর আড়তে বিক্রি ক’রে কোনো হাটে পাচ, কোনো হাটে চার— এই লাভ । এতেই বো-ঠাকরুণকে সংসার চালাতে হচ্চে। তারই পুজি—তিনি যে এই পঞ্চাশ টাক। দিয়েচেন–র্তার সেই পুজি ভেঙে। আমায় বললেন,—বাবুর কষ্ট হচ্চে ভড়মশায়, আপনি গিয়ে টাকাটা দিয়ে আরুন। অমন লক্ষ্মী মেয়ে-•• গদাধর অসহিষ্ণু ভাবে বলিলেন—আচ্ছা, থাকৃ। আপনি ও টাকাটা দিয়েই ধান আমায়। অন্ততঃ যে ক'দিন জেলের বাইরে থাকি, মেস খরচটা চলে যাবে। • জেলের কথা শুনিয়া ভড়মশায় রীতিমত ভয় পাইয়া গেলেন । মনিব জেলে যাইবার পথে উঠিয়াছেন—সে কেমন কথা ? এ-কথা শুনিলে বৌ-ঠাকরুণ কি স্থির থাকিতে পারিবেন ! এই মেসেই ছুটিয়া আসিবেন দেখা করিতে হয়তো। সুতরাং এ-কথা সেখানে গিয়া উত্থাপন না করাই ভালো । তিন হাজার টাকার যোগাড় করিতে না পারিলে যদি জেলে যাওয়ার মীমাংসা না হয়, তবে চুপ করিয়া থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ, সে টাকা কোনোরকমেই এখন সংগ্রহ করা যাইতে পারে না । পঞ্চাশটি টাকা গুনিয়া মনিবের হাতে দিয়া ভড়মশায় ধিদায় লইলেন। দেশে পৌছিতে পরদিন সকাল হইয়া গেল। অনঙ্গ ছুটিয়া আসিয়া বলিল—কি,কি-রকম দেখলেন ভড়মশায় ? দেখা হলো ? ওঁর শরীর ভালো আছে ? কবে বাড়ী ফিরবেন বললেন ? —বলচি বৌ-ঠাকরুণ—আগে আমায় একটু চা ক’রে যদি••• —ধ্যা, তা এক্ষুণি দিচ্চি। বলুন আগে—উনি কেমন আছেন ? দেখা হয়েচে ? —সব হয়েছে। ভালো আছেন । —আছেন কোথায় ? টাকা দিয়েচেন ? —জাছেন একটা কোন মেসের বাড়ীতে। দিব্যি আলাদা একটা ধর । জামায় ৰেতেই খুব খাতির’ৰেশ চেহারা হয়েচে । ७ई त्रर्वाङ खनिब्राहे जमण भूनिtउ अजिब्र शिग्ना बजिन-जांझ, बश्म, जाधि धरण नव