পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ડું૭૭ বিভূতি-রচনাবলী মাঠের মধ্যে বাস খারাপ হয়ে দাড়িয়ে রইল রাত দশটা থেকে। এই খানিকট আগে তখন চললে । —তুমি হাত-মুখ ধোও। জল গামলায় আছে, গাড়তে আছে। আমি ভাত চড়াই। —ভাত ? শেষ রাভিরি ভাত খেয়ে মরি আর কি। আমার পুটুলির মধ্যে সরু চিড়ে আছে, তাই দুটো ভিজিয়ে দ্যাও । খোকা, সরে আয়, তোর জন্তি জিলিপি কিনেছিলাম, তা মিইয়ে ন্যাত হয়ে গিয়েছে। এই স্তাও, খোকারে দ্বখানা ভাও, তুমি দুখান খাও। —আমি খাব না, তুমি খেয়ে এট, জল খাও। —ওগো না না । যা বলছি শোন না । আমার পেট ভাল না কদিন থেকে । সরু চি ড়ে ভিজিয়ে নেবুর রস আর জুন মেখে বেশ কচ লে কচ লে কথ বের করে— —থাক, থাক, তোমাকে আর শেখাতে হবে না। হাত-মুখ ধুয়ে এস। —যাব । তার আগে একবার গাড় টা দাও দিকি —গামছাখন এখানে রেখে দিও। আসছি আমি । তারা তখুনি চি ড়ে ভেজাতে দিলে। স্বামী এসে হাত-মুখ ধুয়ে ৰসল, তার সামনে পাথরের একটা বড় বাটিতে চি ড়ের কথ চুন লেবু মিশিয়ে তাকে খেতে দিলে। স্বামী একটুকু মুখে দিয়েই বললে—বা, বেশ! হন নেবু মিশিয়ে বড় চমৎকার খেতে লাগছে ! —আর দেব ? —ন না, এই বেশি হরেছে । হ্যাগ, ধার দেনা কত এবার ? —মাছ কিনিছিলাম একদিন চার আনা, একদিন ছ আনা । আর খোকা আমসত্ব খেতে চেয়েছিল, তাই বোষ্টম বাড়ী থেকে কিনে এনেছিলাম দু আনার। -আমসত্ত্ব আবার কিনতে গেলে ? বড় নবাব হয়েছ, না ? স্বামীর মুখে কড়া স্বরের কথা শোনা এই প্রথম নয় তারার। ওর চেয়ে অনেক বেশি রূঢ় ব্যবহার ও কথা সে সহ করে আসছে স্বামীর । গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে তার । তাও বিনি দোষে। খোকা খেতে চেয়েছিল, ছেলেমানুষ আবদার ধরলে, ও কি বোঝে কিছু r অবোধ। না দিতে পারলে কষ্ট হয়। —বা রে, খোকা কঁদিতে লাগলো, দেব না কিনে ? —না। বাপের বাড়ী থেকে পয়সা এনে দিও। —মুখ সামলে কথা কও বলছি। বাপ তুলো না, খবরদার । —ওরে বাপ রে । দেখে ভয়েতে ই জ্বরের গৰ্ত্তে না চুকি । তৰুও যদি বাপের বাড়ীর চালে খড় থাকত ! –ছিল না বলেই তো তোমার মত অঙ্গ পাড় মুকুধু আর মাতালের হাতে বাপ দিইছিল ६८म्न ! - حساسية C قيق ـد