পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३é8 दिङ्कडि-ब्रध्नांवनौ —যা, বিশ্বাস হয় না । —আচ্ছা, চল আমার সঙ্গে এক জায়গায় । প্রমাণ করে দেব। বছর পনেরো আগে একবার নন্দরাম সেনের গলি খুঁজে বার করে মাখনের বাড়ী যাই । কুসুম, প্রভা—কেউ ছিল না। ওই দলের মধ্যে মাখনই একমাত্র সে খোলার বাড়ীতে ছিল তখনও । 畿 - শ্ৰীপতিকে নিয়ে আমি চলে গেলাম নন্দরাম সেনের গলিতে । মাখন এখনও সেই বাড়ীতেই আছে। একেবারে শনের গুড়ি চুল মাথায়, যকৃথি বুড়ির মত চেহারা। একটিও দাত নেই মাড়িতে । আমি যেতে মাখন বললে—এস এস ! ভাল আছ ? —চিনতে পার ? —ওমা, তোমায় আর চিনতে পারব না ! আমাদের চোখের সামনে মানুষ হলে । ভাল কথা, কুস্কমের খোজ পেইছি। —কোথায় ? কোথায় ? —শোভাবাজার স্ট্রীটে একটা মেস-বাড়ীতে বি-গিরি করে । ঢুকেই বঁ-হাতি । মন্দিরের পাশের ভাঙা দোতলা। আমায় সেদিন নিয়ে গিয়েছিল মন্দিরে নীলের পূজো দিতে। তাই আমায় দেখালে । শ্ৰীপতিকে নিয়ে সে মেস-বাড়ী খুঁজে বার করলাম। সন্ধ্যে তখনও হয় নি, নীচে রান্নাঘরে ঠাকুরকে বললাম—তোমাদের ঝি কোথায় গেল ? —বাজারে গিয়েছে বাবু এখুনি আসবে। কেন ? —দরকার আছে । তার নাম কুস্কম তো ? —হঁ্যা বাৰু। একটু পরে একজন লম্বা রোগা কি-শ্রেণীর মেয়ে-মানুষ সদর দরজা দিয়ে ঢুকে রান্নাঘরের সামনে এসে দাড়াল । ঠাকুর বললে—ও কুস্কম, এই বাবুরা তোমায় খুজছেন। আমি ঝিএর দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম। বাল্যদিনের সেই স্বন্দরী কুসুম এই ! মাখনের মত অত বুড়ি না হলেও—কুক্ষমও বুড়ি। বুড়ি ছাড়া তাকে আর কিছু বলা যাবে না। ওর মুখ আমার মনে ছিল, সে মুখের সঙ্গে এ বৃদ্ধার মুখের কিছুই মিল নেই। ঠাকুর না বলে দিলে একে সেই কুষম বলে চেনবার কিছু উপায় ছিল না। কুসুমও আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে বললে—আমায় খুজছেন আপনারা ? কোথেকে আসছেন ? —মাখনের কাছ থেকে । —কোন মাখন ? —নন্দরাম সেনের গলির মাখন বাড়ীউলি । --ও ! তা আমায় খুঁজছেন কেন ?