পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ বিভূতি-রচনাবলী বাবা টেচিয়ে ডেকে বললেন-ও বাবা— —কি হরিশ ? —আপনাকে আপনার বৌমা খাইয়ে এসেছে যে ? কি বলছেন আপনি ? —না না, অ হরিশ, মিথ্যে কথা । আমারে কেউ ভাত দেয় নি, না খেয়ে মলাম श्रांभि-- * இ বলেই ঠাকুরদাদা ছেলেমানুষের মত খুৎ খুৎ করে কান্না শুরু করে দিলেন । মা রাগ করে বলে উঠলেন—বুড়ো বাহাত্তরে, মরেও না, সাত কাল জালাবে । তোমার সাধের হিমি গিয়ে তোমায় খাওয়াক মাখাক —আমি আর যদি কাল থেকে তোমায় দেখি, তবে আমি বেণী মুখুজ্যের— বাবা দুঃখিত স্বরে বললেন—আহা হা, বড়বেী—ছেলেপিলের সামনে— —কি ছেলেপিলের সামনে ? কে না জানে সোহাগের হিমির কথা ! বাহাত্তরে বুড়ে, চার কালে গিয়ে ঠেকেছে— —আহা হা বড়বোঁ । অমন করে গুরুজনকে বলতে আছে ? ছি ছি, তোমার মুখখান আজকাল বডড– ঠাকুরদাদা তখনও কিন্তু কাদছেন ছেলেমানুষের মত । কান্নার মধ্যে ডাকলেন—অ হরিশ । যেন অসহায় আর্ত বালক তার একমাত্র আশ্রয়স্থল পিতাকে ডাকছে। বাবা জামা-টামা না খুলেই ছুটে গেলেন, সত্ত্বনার স্বরে বললেন–কি বাবা, কি ? SBB BB BDSBB B BB BBB D BBBS BBS BBB BB BB BBB মারবে—খুৎ—খুৎ— —বাবা,—কাদবেন না । কঁদিতে নেই। ছিঃ, আমন কঁদিতে আছে! মা অমনি এ রোয়াক থেকে বলে উঠলেন—আ মরণ, বুড়ে বাহাত্তরের মরণ স্বাখ না, যেন ছু বছরের খোক, ছেলের কাছে কেঁদেই খুন। যমের ভুল এমনও হয় । বাবা বলেন—আম, চুপ কর না, বড়বেী—কি কর! । ঠাকুরদাদা আবার বলেন–খিদে পেয়েছে—ভাত খাব— —আচ্ছ, আচ্ছ, আমি দেখছি—আপনি চুপ করুন। অবশেষে আবার সামান্ত দুটি ভাত বাবা নিয়ে দিয়ে এলেন। ঠাকুরদাদা দিব্যি-খেতে বসে গেলেন আবার । মুখে আর হাসি ধরে না। আমরাও ঠাকুরদাদার কাও দেখে হেসে বঁাচি নে। এমনি একদিন নয়, মাসের মধ্যে দশ দিন হত । ইতিমধ্যে দিদি শ্বশুরবাড়ী চলে গেল । বাবাকে দেখতাম, ঠাকুরদাদার যত কিছু কাজ নিজের হাতে করতেন । কিন্তু তার সময় নেই, সকালে উঠে সান্ধ্যাহিক করে জল-বাতাসা খেয়ে তিনি বেরিয়ে যেতেন কাছারির কাছে । দুপুরে এসে খেয়ে সামান্ত বিশ্রাম করে কাজে বেরুতেন, ফিরতে রাত আটটা নটা