পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(छोडिब्रिक्र७ ২৬৯ -হ্যা বাবা । আমার কথা বিশ্বাস করুন—মাগুর মাছ এনেছিলাম আপনার জন্তে হাট থেকে কিনে—তাই দিয়ে ভাত খেয়েছেন। সত্যি বলছি, আপনার সঙ্গে মিথ্যে কথা বলছি নে । চলুন, শোবেন আস্কন—ঠাও লাগবে—ঘরের মধ্যে আস্কন— —আচ্ছা, আচ্ছা । —আস্থন— বাবা হাত ধরে ঠাকুরদাদাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে যত্ন করে শুইয়ে দিয়ে চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়ে আবার এসে শুয়ে পড়লেন । মা বললেন—সহজে মিটল ? —মেটাতে জানলেই মেটে। এখন থেকে বাবার জন্যে দুটো ভাত রেখে দিলে কেমন হয় ? —হঁ্যা । তার পর ওই বুড়ো বয়সে পেট ছেড়ে দিক এই শেষ রাত্তিরে গিলে, তখন ঠ্যালা সামলাবে কে শুনি ? - বাবা ন্যায্যপক্ষেই বলতে পারতেন, যে এতকাল সামলে আসছে, সে-ই সামলাবে । কিন্তু ত তিনি বললেন না । নীরবে গিয়ে আবার নিজের ছোট্ট খাটটিতে শুয়ে পড়েন । কাছারির কাজে বাবাকে কয়েক দিনের জন্য গোয়াবাড়িতে গিয়ে থাকতে হল । যাবার সময় বার বার মাকে বলে গেলেন, ঠাকুরদাদার যেন কোন অস্ববিধে না হয়। অযত্ন না হয় এ কথাটা বলতে বোধ হয় সাহস করলেন না, তাহলে ধুন্ধুমার ঝগড়া বেধে যাবে। ঠাকুরদাদাকে গিয়ে বললেন—বাবা, আমি গোয়াড়ি যাচ্ছি, এই পাচ-ছ দিন দেরি হবে। একটু বুঝে-শুঝে চলবেন,আপনার বৌমাও তো কাজের লোক, ছেলে-পুলে নিয়ে বিব্রত। —কবে আসবি ? —বুধবার নাগাত । —আজ না গেলে হত না ? শনিবারের বারবেলা । নিশিকান্ত তরফদার বলত মেহেরপুরের কুঠির জমানবিশ ছিল, শনিবারের আরবেলা— —কে বললে আজ শনিবার ? —তবে কি বার ? —শুক্রবার | 源 —তা কি করে হয় ? তুই বললি পাচ দিন দেরি হবে, তবে আজ শনিবার হল না ? —বাবার এত হিসেব এখনও মাথায় আছে! পাঁচ-ছ দিন বললাম যে । আপনি ভাববেন না, কোন অস্থবিধে হবে না আপনার । বাবা তো চলে গেলেন, এদিকে ছুদিন বেশ কাটল। তার পরই ঠাকুরদাদা উৎপাত শুরু করলেন। রোজ সন্ধ্যের পর অভ্যাল-মত বলেন—অ হরিশ ! - কেউ উত্তর দেয় না । মা আমাদের চোখ টিপে বারণ বরে দিতেন বাবা বাড়ী আসেন নি সে কথা বলতে,