পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cछTांडिब्रिश्रण ३४१ কথা। ওর জীবন ওর কাছে বড়। আমি তার কি বুঝি । আরও বুঝলাম বেচারী শ্রোতা পায় না। এসব কথা শোনবার লোক এ অজ পাড়াগায়ে নেই। তাই বোধ হয় আমার খোজ করে আমায় বার করেছে। শুনিয়ে ওর স্বখ হয়, আমার শুনতে আপত্তি কি । বললাম, আপনার বন্ধু শুীমন্বন্দরবাবু এখন কোথায় ? ওর মুখখান কালো হয়ে গেল যেন । কি যেন একটা ব্যথা পেয়েছে । কি একটা কথা খানিকক্ষণ ভাবল । তার পর আস্তে আস্তে বললে, সে লণ্ডনে থাকে। —লগুনে ? কিছু পড়তে গিয়েছেন ? —ইণ্ডিয়া অফিসে চাকরি করে আর সেই ব্রিটিশ মিউজিয়াম লাইব্রেরিতে বসে পড়াশুনো করে । যা আমরা বসে বসে কল্পনা করতাম, তাই । আমার হল না, ওর হল । আর আমি এই পাড়াগায়ে বসে বসে-— সাস্তুনার স্বরে বললাম, কি আর করবেন বলুন। এমন কত হয়। —হয়, জানি । কিন্তু— আবার সেই স্বপ্নাতুর দৃষ্টিতে বৈচি ঝোপ আর ডোবার ওধারে দীর্ঘ টানা দুরবিস্তৃত আউশ ধানের মাঠে কচি কচি সবুজ ধানের জাওলার দিকে চেয়ে রইল। তার পরে আস্তে আস্তে বলতে লাগল, জানেন ? ডেভনশায়ার ইজ দি ফেয়ারেস্ট কান্‌ট্র ইন ইংল্যাও ! লর্ন ডুনের লেখক বলে গিয়েছেন। ও ন্যারো লেন অব ডেভন ! কত জিনিস ঘটে গিয়েছে ডেভনশায়ারে । ডেনম্বর এসে ওর গ্রামগুলো পুড়িয়েছিল, স্প্যানিয়ার্ডরা ওর কোস্ট আক্রমণ করেছে। ইংল্যাণ্ডের সিভিল ওআরে ওখানকার লোক লড়েছে । সমস্ত ডেভনশায়ার এক সময়ে বনভূমি ছিল। হরিণ চরে বেড়াত। র্যালে, ড্রেক, হকিনী—সব ডেভনের লোক। বিরাট মুরল্যাণ্ড, বাল্যকাল থেকে কত সাধ ছিল, সন্ধোবেলা মুরল্যাণ্ডে বেড়িয়ে বেড়াব, ক্রমলেক দেখব। লর্নী ডুন পড়ে পাগল হয়েছিলুম কলেজে, ডুন কাউন্টি দেখব, ব্ল্যাকমুরের অমর কাহিনী –লিণ্টন । লিনমাউথ টু ইনফ্রকুমা ! এসব কতদিনের স্বপ্ন ! হল না। কোথায় ডেভনশায়ার লেনের সৌন্দৰ্য্য, কোথায় ডার্টমুদ্ৰ—আর কোথায় পড়ে আছি চালতেপোতা গায়ে বঁাশবাগানে মশার কামড় খেয়ে । কি অদ্ভুত আয়রনি অব ফেট, তাই ভাবি ! খামন্বন্দর দিব্যি দেখছে। আমি শুয়ে ভাবি ও লগুনের রাস্তায় রাস্তায় বেড়াচ্ছে, উইগুরমিয়ার দেখছে, ওআর্ডসওয়ার্থের লেক অঞ্চল দেখছে—আর আমি কি করছি ? ভেবে ভেবে মাথা গরম হয়ে যায়—রাত্রে ভাল ঘুম হয় না। কি হতে চলেছিলাম আর কি হলাম । জানেন, ইংল্যাওকে এত ভালবাসি ! কেন জানি নে, মনে মনে এত ভালবালি ! কত সাধ ওখানে যাব—আমারই হল না । কি বিপদ ! ডোবার ধারে বৈঁচি ঝোপের পাশে দাড়িয়ে এ উইণ্ডারমিয়ার হ্রদের ছবি দেখতে লাগল ! লোক জমে যাবে এখুনি ওর উত্তেজিত কথাবার্তা ভনে। অবিহি এখন কেউ নেই এখানে । ব্রজেনবাৰু আবৃত্তি শোনবার পরে চলে গিয়েছেন । আমি আবার