পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশল পাহাড়ী ●ፃ¢ সমতল চত্বর। জল ঈষত্তপ্ত, কিন্তু কাকচক্ষুর মত নিৰ্ম্মল । জলে পড়েচে চাদের জোৎস্না, পাহাড়ের ওপর বন্যকুকুট ডেকে উঠলো রজনীর প্রথম যামের শুকতে, সেই সঙ্গে ডেকে উঠলো শেয়ালের দল । ললিত বল্লে—কি চমৎকার জায়গা ভাই ! —এমন যে জায়গা আছে তাই জানতাম না । —অথচ কেউ আসে না। জানলে ভিড় জমে যেতে না এই গরমের দিনে ? —তুমিও যেমন ! আমাদের দেশে এ সব জিনিস দেখবার শখ আছে ক'জনের ? কে আসচে লেক্‌ দেখতে । আমাদের পিছনে রহস্যাবৃত বনভূমি জ্যোৎস্নায়-অন্ধকারে অত্যন্ত গভীর ও বিপদসঙ্গুল বলে মনে হচ্ছে | করণ সিং ভালুকের কথা তো বলেছিলষ্ট, বাঘের অস্তিত্বের সম্বন্ধে যে ইঙ্গিত করেছিল, তাও অর্থপূর্ণ। কিন্তু আমার মন ছিল না বনের বিপদের দিকে । সারাদিন প্রখর রৌদ্রতাপ, ধুলো ও ঘামের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে এই বনানী-বেষ্টত নিৰ্জ্জন বিশাল জলাশয়ের গভীর জলে অবগাহন স্নান করবার আনন্দ আমার সব ভয়কে ছাপিয়ে উঠেচে । হ্রদের ধীরে ধীরে জলজ ঘাসে নীল ফুল ফুটে আছে—হাওয়ায় দুলচে ঘাসগুলো, উচ্ছে-লতার মত কি একটা লতা ঝুলে পড়েচে জলে, পাথরের ওপর দিয়ে সাপের মত সেটা চলে এসেচে জঙ্গলের দিক থেকে | দুজনে পাষণ তীরভূমিতে উঠে সাবান মাখলাম আরাম করে, তারপর আবার নামলাম জলে । চাদের ছায়া ভেসে ভেসে যাচ্ছে জলের ভেতর, বুকে মুখে লাগছে ঢেউ, পাষাণময় তটে মৃদু শর্কে BBBS SBBBS BBBS BB BBBBSBBSSBB CSBB BBBBSB BBB BBS BB BBB দেবলোকের সরোবরের মত অগাধ জলরাশি । তিডিং করে একটা ছোট মাছ লাফিয়ে উঠেই আবার জলে পড়ে গেল ! জল । জল । জীবনদায়িনী মৃধার প্রবাহ ! ভগবানের কি অস্তুত সৃষ্টি এই জল । কিন্তু এই জলকে ঠিকমত ভোগ করতে হলে এমনিধারা অগাধ জলের সরোবরে বা নদীতে এমনি ছায়ানিবিড় বনফুলের ধারের ঠাণ্ড জলে অবগাহন স্নান করা চাই—সারাদিনের পরিশ্রম, ধূলে ও দুৰ্দ্ধান্ত গ্রীষ্মের পরে। কলকাতার আট-সঁটি বাথরুমে জলের কল খুলে স্নান করে কিছুতেই বোঝা যাবে না জলের কি মহিমা, অবগাহন স্নানের কি আস্বাদ । তার ওপর যদি জ্যোৎস্নারাত হয়, আর এমনি জনহীন সরোবরাট পাওয়া যায়, তবে স্বষ্টির আনন্দের অনেকখানি স্নান করে উঠে নিয়ে আসা যায়—দৃষ্টির সাহায্যে ওর ফটো তুলে । স্মৃতির পটে এই ফটো চিরদিন থেকে যাবে এবং জীবনের মহাসম্পদ হয়ে থাকবে। স্নান করে স্নিগ্ধ হয়ে আবার আমরা বোট বেয়ে অজানা রহস্তলোকের দিকে এগিয়ে চলি পশ্চিম তীর ধরে। আমাদের বা দিকের বন ও পাহাড় ধরে ধরে অনেকদূর বেয়ে চলেচি ডাঙার কাছে—কোথাও বনের মধ্যে অজানা বনকুস্কমের গন্ধ, কোথাও ঝি বির