পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশল পাহাড়ী 8לל করেচে কতক্ষণে সকাল হবে। ভালো ঘুম হয় নি। জানালা দিয়ে চেয়ে দেখেচে ঘুম ভেঙে উঠে। একবার উঠলো, তখন ঘড়িতে টং টং করে বাজলে ছুটে । একবার উঠলো, তার কিছু পরে বাজলে তিনটে ...এক ঘুমে রাত ভোর হয় অন্য দিন—আজ এমন হয় কেন ? আবার যুমুলো । তখন চেয়ে দেখলো জানালা দিয়ে বাইরে চমৎকার জ্যোৎস্না। প্রখমটা জ্যোৎস্না বলে বোঝা যায় নি, ভোরের আলো বলে মনে হল---ওর বহুপ্রতীক্ষিত প্রত্যুঘটি.--যেদিন ও বলতে পারবে, আজ আমার খোকার কাছে যাওয়ার দিন। কিন্তু না, ওটা শেষরাতের জ্যোৎস্না--সকালের এখনো বিলম্ব আছে। টং টং করে বাজলো চারটে একটু পরেই। এইবার সে ঘুম্ববে—এইবার উঠে দেখবে সকাল হয়ে গিয়েচে-দু’মাসের আকুল প্রতীক্ষার সেই সকালটি, যে সকাল কোনদিন আসবে বলে বিশ্বাসই হয় নি ওর। যে সকাল ছিল কামনার সপ্ত সমুদ্রের পারে—ত এল ওর চোখের সামনে রূপ ধরে, সত্যিকার পাখীডাক সেই অপরূপ সকালটি । তারপর কত কষ্টে সকাল হল । আজ সে রওনা হবে খোকার কাছে । পৃথিবীতে এমন অপুৰ্ব্ব সকাল নামে ! ট্রেন কতদূর এল ? গাড়ীর মধ্যে বডড গরম। ঘুম আসে কই ? সীতানাখ শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো নৈহাটি থেকে খোকার জন্যে নিতে হবে লেবেঞ্চুস, খেজুর। কোন একটা খেলনা । একটা জামা । স্ত্রীর জন্তে একখানা কাপড় । থোকা কেমন বলতে কোন জায়গা থেকে ফিরলে—বাবা, কোথায় গিইলে ? —অমুক জায়গায়। —আমার জন্তে কি আনলি ? মুকি ? ভালো কথা। ও মুড়কী বড় ভালবাসে, মুড়কি কোথা থেকে নেবে ওর জন্তে ? রাণাঘাটের মুড়কি ভালো, সেখান থেকেই নেবে ••• আর কি খাবার নেওয়া যাবে ? খোকার জন্যে কিছু রসগোল্লা । আবার সীতানাথ ঘুমিয়ে পড়লো।” নৈহাটি পৌছে গেল গাড়ী, রাণাঘাটের ট্রেনের এখনো অনেক দেরি। হাত-মুখ ধুয়ে সে চ খেয়ে নিলে। তারপর খোকার জন্যে বাজার করলে। ট্রেন এল বেলা ন’টায়। ভখুনি সে উঠে বসলো ।•••ট্রেনগুলো আজকাল এমন আস্তে আস্তে যায় ? স্বাধীনতা-লাভের পর সব গোলমাল হয়ে গিয়েচে । আগেকার ট্রেন অনেক জোরে চলতো । এক একটা স্টেশনে যদি বা দয়া করে থামে–ছাড়তে আর চায় না। তাড়াতাড়ি ঘণ্টা দিয়ে দে না কেন বাপু । এত কি তোমাদের কাজ ? "চাই কেকৃ, ভাল কেক্‌ ? এতে আছে মাখন, ডিম, কিশমিশ, বাদাম, পেস্তা। বাজারে যার দাম দু আন, আমাদের কোম্পানী প্রচারের জন্যে তাই দিচ্চে এক আনায়। বাড়ীতে बि. ब्र. ४४-२१