পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅԵՑ विङ्कडि-ब्रध्नांवर्णौ —তাই তো বাৰু, একা আমি কি করে যাবো ? —রাখে কেষ্ট মারে কে ? মারে কেষ্ট রাখে কে ? কপালে মৃত্যু থাকলে কেউ সামলাতে পারে না। না থাকলে কেউ মারতে পারে না। রাম রাম বলতে বলতে চলে যাও। দাড়াও, আজ আবার তিথিটা কি ? চতুর্দশী। তিথিটা ভালো নয়। অমাবস্তে, চতুর্দলী, প্রিতিপদ এই তিথিগুলো খারাপ । —কেন, কেন বাৰু? —সে আর তোমাকে বলে কি হবে ? তুমি সন্দের অন্ধকারে এক রাস্তার ওপর—যেতে হবে এখনো তোমায় এক ক্রোশ পথ। ক্রমশ ঘুটফুটে অন্ধকার হয়ে আসচে। তবে তোমায় বলা আমার উচিত—বিদেশী লোক, তোমায় সব কথা খুলে না বলাটাও ঠিক নয়। একটা বিপদ হোতে কতক্ষণ ? তখন তুমি আমায় দোষ দিতে পারো। এই সব তিথিতেই ভূত প্রেত— পিশাচ ব্ৰহ্মদত্যি— লোকটা বলে উঠলো—রাম রাম রাম রাম—ও সব নাম করবেন না বাবু— —মানে ওঁরা সব বার হয়ে থাকেন কিনা— —তাই নাকি ? তবে তো— —আবার কি জান, এই চতুর্দশী তিথিতে গলায় দড়ি দিয়ে অপমৃত্যু ঘটেছে এমন ভূতেরা বার হয় । আমি একবার বড় বিপদে পড়েছিলুম— লোকটা আড়ষ্ট স্বরে বললে—কি বাৰু ? একটা শ্মশানের ধার দিয়ে সেবার যাচ্ছিলাম। সেও এই ভূতচতুর্দশী তিথি । দেখি যে অন্ধকারে গাছের ডাল থেকে কি একটা যেন ঝুলচে—কাছে গিয়ে দেখি একটা মেয়েমানুষ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলচে আর হিঃ হিঃ করে হাসচে— লোকটা আঁৎকে উঠে বল্লে—কি সৰ্ব্বনাশ ! —যাক, ওই আমার রাস্তা নেমে গেল। আমি চল্লাম এবার । যাও তুমি, একটু সাবধানে যাও, সাবধানের মার নেই। কথা শেষ না করেই আমি আমাদের গ্রামের পথে নেমে পড়লাম । ও কাদো-কাদে স্বরে বল্লে–বাৰু, আমাকে একটু এগিয়ে দিয়ে সাকোটা পার করে छांन शक्लि আমি শিউরে বলে উঠি—আমি ? আমার কন্ম নয়। আমাকে তারপর এগিয়ে দেবে কে ? বাবারে, প্রাণ হাতে করে যাওয়া ওসব জায়গায়। একে আজ ভূতচতুর্দশী— —রাম রাম রাম রাম! —তুমি চলে যাও একটু জোর পায়। আবার রাস্তাও তো কম নয়, তোমাকে যেতেও হবে একমাইল দেড়মাইল রাস্তা—আর এই অন্ধকার! আচ্ছা চলি—তুমি বিদেশী লোক, জিজেল করলে তাই এত কথা বলা । নইলে কি দরকার ? আমাদের রাস্তায় নেমে কয়েক পা মাত্র এগিয়েচি, লোকটা দেখি ডাকচে–বাৰু, বাৰু,