পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कूक्षण °ांशफ़ो ge? একটা কথা শুকুন—ও বাবু— পিছন ফিরে দেখি কঁাধের বাকটা একটি শিশুগাছের তলায় নামিয়ে দাড়িয়েচে । বল্লাম—কি ? —দইগুলো নিয়ে আমি এখন কি করি বাৰু ? —কি আর করবে ? বায়না রয়েচে, একমুঠো টাকা । দিয়ে এসো। রাত হয়ে গিয়েচে, ওদের খাওয়ানো দাওয়ানোর সময় হল । রাম ব’লে এগিয়ে পড়ো—সাবধানে যেও— আর কোনো কথা না বলে আমি হন হন করে হাটতে আরম্ভ করলাম । ও শুনলাম আবার ডাকচে–ও বাবু, ও বাবু—শুনে যান—একটা কথা, ও বাবু— দূর থেকে ওর গলার স্বরটা যেন আৰ্ত্তনাদের মত শোনাচ্ছিল। ७भनिझे झग्न আমার ছেলেবেলায় ‘কামার-বাড়ী’ বলতে আমাদের গায়ে সাতু কৰ্শ্বকারের বড় কোঠাবাড়ীট বোঝাতে । অন্য যে সব কৰ্ম্মকার ছিল আমাদের গ্রামে, তাদের অবস্থা ছিল গায়ের আর পাচজনেরই মত। কিন্তু ওদের ঘোড়ার গাড়ীর কারখানা ছিল, কলকাতায় বাড়ী ছিল । আমাদের গরিব গায়ের লোকের পক্ষে স্বপ্ন । ওদের বাড়ীটা বছরের মধ্যে অধিকাংশ সময় চাবি-বন্ধ থাকতো । এক-আধ মাসের জন্যে সাতকড়ি কৰ্ম্মকার স্টেশন থেকে ঘোড়ার গাড়ী করে বাড়ী আসতো। এই বাড়ী আসার কথাটা একটু বুঝিয়ে বলি । সাতকড়ি ও নিবারণ দুই ভাই । তারা বছরের মধ্যে এগারো মাস কলকাতায় থাকে । বাধা হয়ে থাকতে হয়, ব্যবসার খাতিরে । কিন্তু তারা যে এ গায়ের নামকরা, রাশভারী, অনেক লোকের চেয়েই বড়, সব বিষয়েই বড়লোক—এটা না দেখাতে পারলে গ্রামের লোকে বুঝবে কেন ? কিন্তু তার অবসর মেলে না"। মেলে বছরের মধ্যে মাত্র একটি মাস। সুতরাং এই এক মাসের মধ্যে চালে চলনে, পোশাকে পরিচ্ছদে, আচারে ব্যবহারে, গ্রামের লোককে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়াই চাই যে ওরা বড়লোক। কলকাতায় তাদের কি আছে না আছে, গ্রামের লোক দেখতে যাচ্ছে না । ওরা বেশ তৈরী হয়ে আসতে বড়-মামুষি দেখাবার জন্তে । যা দেখাবার এই একমাসের মধ্যেই দেখিয়ে যেতে হবে। ঐশ্বর্ঘ্যের পাচিল তুলে গ্রামের রায় মশায়, গাঙ্গুলি মশায়, বোলজ, দত্ত মশায়, ননী পালিত, গদাধর বিশ্বাসদের সঙ্গে নিজেদের পৃথক করে রাখতে হবে এবং বুঝিয়ে দিতে হৰে যে তোমরা গাঁয়ে বলে যতই জমি-জমা নাড়ো আর প্রজা শাসন করে।