পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चहैष खञ्जं 는 —ত হবে না বাবাজি, তুমি যাচ্চ খাবে না বলে, আমি বুঝতে পেরেছি। তুমি আজ আমার জাত রক্ষে করেছ—তুমি না থাকলে ব্ৰাহ্মণভোজন পও হয়েছিলো। খুব র্যাচিয়ে দিয়েচ বাবাজি । আমি তোমাকে আজ ক্টেড কি বলে আশীৰ্ব্বাদ করবো, বেঁচে থেকো—দীর্ঘজীবী হও । চললে ৰে ? —আমি যাই— —কেন ? —আপনি তো আমায় নেমস্তন্ন করেন নি জ্যাঠাবাৰু ? আমার গলার মধ্যে একটু অভিমানের স্বর এসে গেল কি ভাবে নিজের অলক্ষিতে । মুখুয্যে জ্যাঠামশায় কাতরভাবে আমার হাত দুটো ধরে বললেন—আমার মতিচ্ছন্ন। রত্ব চিনতে পারি নি। তুমি আমার কানটা মলে দাও—দাও বাবাজি— আমি জিভ কেটে হাত জোড় করে বিনীতভাবে বলি—ওকি কথা জ্যাঠামশায় ? আমি আপনার ছেলের বয়সী, আমাকে ওকি কথা ! —বেশ, চল আমার সঙ্গে । পুকুরে নাইবে, সাবান দিচ্চি। তোমাকে না থাইয়ে আমি জলস্পশ করবো না | চলো— সনাতনদা সেই রাত্রেই আমার বৈঠকখানায় এল। বললে—খুব ভায়া, খুব ! দেখালে বটে একখানা ! —কি রকম ? —আজ তো উলটে গিয়েছিল সব ! তুমি এসে না সামলালে—খুব বাচান বঁাচিয়েচ। আমার কেমন সন্দেহ হোল, আমি ওর মুখের দিকে চেয়ে বললাম—তোমার কাজ, সনাতনদা ? —কে বললে ? —তুমি ওদের উসকে দিয়েচ ? ঈশান চক্কত্তিকে তুমি খাড়া করেছিলে ? —হঁ্যা আমি না হতো— —ঠিক তুমি। আমি নাড়ী টিপে খাই তা তুমি জানো ? বলে, হ্যা কি না ? সনাতন মুখ টিপে হাসতে লাগলো। বললে—তা তোমার অপমান তুমি তো গায়ে মাখলে না—আমাদের একটা কিছু বিহিত করতে হয় ? তবে ধ্যা—দেখালে বটে। তুমি অন্ত ডালের আম, আমাদের মত মও। যারা যারা জানে, সবাই দেখে অবাক হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ বোকাও বলছে । -- আমি তিরস্কারের কড়াস্বরে বললাম—এমন করে আমার উপকার করবে না সনাতনদা, অনিষ্টই করবে ; আমি তোমাদের দলাদলির মাথায় ঝাড়ু মারি । আমি ওসবের উচ্ছেদ করবে বলেই চেষ্টা করচি। এতে ৰে আমার দলে থাকবে থাকে, নয়তো দূর হয়ে চলে যাও—গ্রাও করি নে। কুচুকুরেপনা যদি না ছাড়তে পারে—জামার সঙ্গে আর মিশে ៧