পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশল পাহাড়ী 96.3 —আমার ছবি দেখেছ ? -अखि-७षां८ख —আচ্ছা এসো, দেখবে। আমি দেখলুম অনেকক্ষণ ধরে। বুড়ে বল্লে—কি রকম হয়েছে ? —খুব ভালো । —ভালো লেগেচে ? —আজ্ঞে, তা আর বলতে ! কখনো এমন দেখি নি । —আচ্ছ, তুমি এখন যেতে পারে । দাড়াও, কি খাবে সকালবেলা ? —আজ্ঞে কিছু না। আমি যাদের বাড়ি যাচ্ছি, সেখানে খাবো। —না না, তা হয় না। পাস্ত ভাত হাড়িতে ছিল ? —আজ্ঞে না। সব খেয়েছি কাল দুজনে । --নারকোল একটা নিয়ে এসো, কেটে দিই। —আজ্ঞে আপনাকে কষ্ট দেবে না। আমি খাবো না কিছু। বলেই হন হন করে বেরিয়ে পড়লুম বাড়ী থেকে । বুড়ে দেখি পেছনে ডাকছে—ও খোক, শোনো ! ও খোকা, যেও না— আমি পেছন ফিরে চেচিয়ে বলি—আজে, আমি নারকোল খাবো না। সেই দিনই বিকালে বই নিয়ে আসবার পথে বুড়োর ওখানে যেতে বড় ইচ্ছে হল। বুড়োকে দেখবার জন্যই ঘরের জানালায় উকি-ঝুকি মারি । বুড়োকে কিন্তু দেখতে পেলাম না । ঘুমুচ্চে নাকি ? ফিরে আসচি এমন সময় কে ডাকলে—কে ? বল্লাম—আমি । —শোনো খোক, শোনো । 象 গেলাম। বুড়ো বালিশ ঠেস্ দিয়ে চোখ বুজে বসে ছিল। আমায় বঙ্গে—আজ রাত্রে এখানে থাকে । —থাকবো না । 變 —কেন ? থাকে । আজ তোমাকে নারকোল খাওয়াবে, চি ড়ে খাওয়াবো । কি স্নেহের স্বর ওর কথার মধ্যে। সে রাতেও আমার থাকার ইচ্ছে সেখানে, কিণ্ড আমার বাড়ীর লোকের ভয় ছিল, না বলে এসেচি ৷ আমি বল্লাম—ম বকবে । বুড়ো আমার মুখের দিকে চেয়ে বঙ্গে—ঠিক ঠিক। মা রয়েচেন ? তাহলে যাও। নারকোল খেয়ে যাবে না ? —আমি নারকোল কাটতে জানিনে । -আমার হাতে ব্যথা, নইলে আমি তোমাকে নিজেই নারকোল কেটে দিতাম।