পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to বিভূতি-রচনাৰঙ্গী —কেন যাবেন না ? আমি মাথা কুটৰো আপনার সামনে এখুনি। আস্থন । 一可廿世 —তবে দেখবেন ? এই দেখুন— সত্যিই ও হঠাৎ নিজের শরীরকে মাটির দিকে ঝুকিয়ে মেজের ওপর হাটু গেড়ে বসতে যেতেই আমি তাড়াতাড়ি বলে উঠলাম—থাক থাকৃ যাচ্ছি আসরে—তুমি যাও। • পান্না কোনো কথাটি আর না বলে ভালো মামুষের মত চলে গেল । একটু পরেই নেপাল মশারি নিয়ে ঘরে ঢুকলো । বললে—কোথায় চললেন ? ঘরে কিসের গন্ধ ! —কি ? নেপাল মুখ ইতস্তত ফিরিয়ে নাক দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস টেনে টেনে বললে—সেণ্ট, মেখেছেন বুঝি ? সেণ্টের গন্ধ । —তা হবে । পান্নার কাও ৷ সন্তা সেণ্ট মেখে এসে ঘরময় এই কীৰ্ত্তি করে গিয়েছে। তবুও গন্ধটা যেন বড় প্রিয় আমার কাছে। ও যেন কাছে কাছে রয়েছে ওই গন্ধের মধ্যে দিয়ে । বললাম—শোব না। একটু আসরে যাচ্ছি। —কি দেথতে যাবেন ডাক্তারবাৰু! যাবেন না । —তা হোক, কানের কাছে গোলমালে ঘুম হয় না। তার চেয়ে আসরে বসে থাকা ভালো । —চলুন আমার বাড়ী শোবেন। বড়বে বড় খুশী হবে এখন । —না। আসরে যাই একটু— নেপালের ওপর মনে মনে বিরক্ত হই। তুমি বা তোমার বড়বে। আমার গার্জেন নয় ; আমিও কচি খোকা নই। বার বার এক কথা বলবার দরকার কি ? একটু পরে আমি আসরে গিয়ে বসলাম। সামনেই পান্না। কিন্তু ওর দিকে যেন চাইতে পারচি নে। চোখের কোণ দিয়ে ওকে দেখচি। গোবিন্দ দা, আবদুল হামিদ সবাই বসে। ওদের দলের মাঝখানে বসে আমার লজ্জ করতে লাগলো পন্নিার দিকে চাইতে। পান্নাও আমার দিকে চেয়ে প্রথম বার সেই যে একবার মাত্র দেখলে, তারপর সেও আর আমার বাছে এলোও না, আমার দিকে ফিরেও চাইলে না । অনেকক্ষণ পরে একবার চাইলে, ভীরু কিশোরীর সলঙ্গ চাউনি তার প্রণয়ীর দিকে। এই চাউনি আমায় মাতাল করে দিলে একেবারে, আমার অভিজ্ঞতা ছিল না, ভগবান জানেন স্বরবালা ছাড়া অন্ত কোনো মেয়ের দিকে কখনো খারাপভাবে চোখ মেলে চাই নি বা প্রেম করি নি। পাড়াগায়ে ওসব নেইও অতশত। স্বযোগ স্ববিধার অভাবও বটে, তা ছাড়া আমার মত নীতিবাগীশের এদিকে রুচিও ছিল না। সলজ লুকানো চাউনির অদ্ভূত মাদকতা সম্বন্ধে কোনো জ্ঞানই আমার থাকবার কথা নয়। আমার হঠাৎ বড় আনন্দ হল। কেন