পাতা:বিভূতি রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

किझग्न लल »ዓ¢ গহনা সরাবে, দাদার বোঁকে ফাকি দেবে। সে ভয়ানক ব্যাপার, চলুন না, গিয়ে শুনবেন সব । —আমরা কি জানতাম কিছু, আজ সকালে রাণীর সেজদা ললিত আমাদের মেসে এসে খবর দিলে যে, একা সে কিছু করতে পারচে না—আমরা তো গায়ের একদল ছেলে মেসে আছি —বললুম—আমরা থাকতে ভয় কি ? চলে যাই । ললিতকে তে ওরা বাড়ি ঢুকতেই দেয় না—দেওরটা এমনি করেছিল । * কাশীমিত্রের ঘাটে পৌছে দেখি রাস্তার দিকের পাচিলের এক কোণে একটা খাট নাবানে —তাতে চাদর-ঢাকা একটি মৃতদেহ । থাটের পাশে সেই মেয়েটি বসে আছে, যাকে সেবার ওদের গায়ের পথের ধারে পুকুরঘাটে নাইতে নামতে দেখেছিলুম সাবানের বাক্স হাতে। ওর পরনে রাঙাপাড় শাড়ি, মাথার চুলগুলো রুক্ষ ও অগোছালে, চোখেমুখে একটি দিশাহারার ভাব —যেন সে বুঝতে পারচেন, যে কি হচ্ছে বা কেন সে এখানে এসেচে। কিন্তু তার চোখে জল দেখলাম না। সেও যেন একজন এই ব্যাপারের নিম্পূহ উদাসীন দর্শক আরও পাচজন বাইয়ের লোকের মত, এই রকম ভাবটা তার মুখে। খাটখানা এবং মেয়েটির চারিধারে ঘিরে কতকগুলি ছোকরা । আমার দেখে ওদের মধ্যে একজন বলে উঠল—এই যে এসেচেন ? আপনাকে আনতেই বলে দিলুম আমরা । আমরা তো সব ছেলেছোকরা, একজন আপনাদের মত লোক উপস্থিত না থাকলে আমরা ভরসা পাইনে । আর একটি ছোকরা বললে—দেখুন, এমন চামার রাণীর দেওরটা—ভাই মরে পড়ে আছে, সে সিন্দুক বাক্স সামলাতে ব্যস্ত। রাণীর তো দুর্দশা যে কি করেচে এই ক'দিন, এর দাদা না থাকলে বোধ হয় ওকেও ওই সঙ্গে মেরে ফেলত। টাকার ভাগ, বাড়ির ভাগ ওকে দিতে হবে এই আপসোসে ম আর ছেলে মরে যাচ্ছে! সে যদি দেখতেন কাওটা! আপনি যদি বলেন, আমরা চিতায় চড়িয়ে দিই মড়া। দেখুন, মুখাগ্নি করতে পৰ্য্যন্ত এল না ভাই—এই ছোট মেয়েটাকে দিয়ে সব কাজ করাতে হবে-সঙ্গে অন্ত একটি মেয়েমানুষ পৰ্য্যন্ত নেই—ওর শাশুড়ীকে কত করে বললাম—এলো না । মৃতদেহ চিতায় তুলে দিতে পরামর্শ দিলাম। রাণীর দাদা তার হাত ধরে তাকে দিয়ে মুখাগ্নি করালে । মুখাগ্নি নিম্পন্ন হয়ে গেলে তার দাদা তাকে একপাশে বসালে। দু'একটি কথায় নীচু স্বরে বোনকে কি বলছিল, বোধ হয় সাত্বনাস্বচক কথা । \! এমন সময় একটি কাও ঘটলো । কোথা থেকে তিন জন লোক এসে উপস্থিত হোল। একজনের বয়েস তেইশ-চব্বিশ, বৃষকাষ্ঠের মত শুকনো চেহারা, মাথায় লম্বা লম্বা চুল, সামনে পেছনে ঘাড়ের দিক চাচা। শখের থিয়েটার দলে ফুলুট বাজায়—চেহারাখানা এমনি ধরণের । বাকী দু'জন বেশী বয়সের লোক— কিন্তু তাদের মুখ দেখলে মনে হয়, ওদের বংশে তিন পুরুষের মধ্যে কারো অক্ষরপরিচয় ঘটে নি, এমনি চাষাড়ে-চোয়াড়ে মুখ । ছোকরাটি আসতেই মেয়ের দাদা বললে—এই যে আসুন ধীরেনবাবু—মাকে আনলেন না ? ছোকরা সে কথার কোনো জবাব না দিয়ে চোয়াড়ে ধরণের একজন লোককে দেখিয়ে বললে--ইনি আমার মামা। একে নিয়ে এলাম, নইলে আপনারা তো আমার কথা শুনবেন না ! g —কি কথা ?