পাতা:বিভূতি রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকর্ণ \రి(tS থেকে যে নিমন্ত্রণ এসেচে, তারই কি করা যায় ভাবচি। সভাসমিতি করে বেড়ানো এ সময়ট মোটেই ভাল লাগে না । আজ সকালে গোপালনগরে গিয়ে অনেকগুলো চিঠি ডাকে দিলুম। বাড়ি এসে আমতলায় চেয়ার পেতে বসে অনেকদিন পরে Cleopetra পড়চি, এমন সময় খুকু আমার কাছ দিয়ে ন’দিদিদের বাড়ি থেকে গেল। ইচ্ছে করেই গেল, কারণ সুপ্রভাকে চিঠি লিখতে চাইনি। সেই রাগটা নরম করাতে যে এল, এটি বেশ বোঝাই যায়। ওদের দাওয়ার এধারে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কত গল্প করলে । forces stify The Croxley Master of Conan Doyle-o (Roi o os পড়তে বেলা গড়িয়ে ফেললাম। উঠতে আর পারিনে—এমন কৌতুহল | Conan Doyle ছোট গল্পে ভালো শিল্পী ছিলেন। তার A Struggle of-l5 এবং আরও দু'একটা গল্পের মধ্যে দেখেচি, বড় শিল্পীর কৌশল বর্তমান। এত খুঁটিনাটি বর্ণনার ওপর দখল (অদ্ভুত দখল !) নিম্নশ্রেণীর শিল্পীর পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সামান্ত একটু আধটু সেকেলে claptrap টেকনিক্‌ আছে—তা ধর্তব্যের মধ্যে নয় । তারপর কুঠীর মাঠ দিয়ে আইনদির বাড়ির পেছনকার উচু মরাগাঙের পাড় পৰ্য্যন্ত গিয়ে সেখানে খানিকটা বসে রইলুম। বেলা একেবারে গিয়েচে । সেই যে রাখাল ছোড়া আমার তামাক খাওয়াত, গত কাৰ্ত্তিক মাসে যখন কুঠীর পেছনের বন-ঝোপের ধারে বসে ‘আরণ্যক’ লিখতুম—সেই ছোকরা দেখি পুলের নীচের ঘাট থেকে নেয়ে উঠচে। বল্লে—ভাল আছেন দাদাবাৰু ? কবে এলেন ? একটু পরে প্রমথ ও তার ভাই-এর সঙ্গে দেখা । সাইকেলে গোপালনগর থেকে ফিরচে। সে বনগা স্কুলের মাস্টার । তার জানবার একমাত্র দরকার দেখলুম ওদের স্কুলের ছেলেরা বাংলায় কত নম্বর পেয়েচে । - সন্ধ্যা হয়ে গেল। বেলেডাঙায় গোয়ালাদের দোকানে বসে একটু গল্প করে মাঠের মধ্যে দিয়ে এসে যখন আমাদের ঘাটে নাইতে নামলুম—তখন অন্ধকার আকাশ তারায় তারায় ভরে গিয়েচে। সাতার দিয়ে গেলুম ওপারে। এপারের ঘন অন্ধকার বন-ঝোপে কি জোনাকি পোকার মেলা ! ফিরে এসে খুকুদের দাওয়ায় বসে কতক্ষণ গল্প করলুম—হীরাবাঈ ও কেশরীবাঈ-এর গানের সম্বন্ধে, ‘Life of Emile Zola’ ফিল্ম সম্বন্ধে। খুকু বলে—সেই যে কি একটা ফিল্ম দেখেছিলেন—পাহাড় থেকে পড়ে গেল, কি একটা চমৎকার কথা আছে তাতে ? আমি তখনই বুঝতে পেরেচি, ও ‘A Tale of Two Cities’-এর কথা বলচে । ago—oisotif f ‘I am the life and the Resurrection. He who believeth in Me”—się offs TTS TIM উঠল—ই, ई-टैिक | বহুম—পাহাড় থেকে ফেলে দেওয়া তো নয়—গিলোটিনে যখন ওদের প্রাণদণ্ড হচ্ছে—সে সময় । ও বল্লে—ঠিক, এবার সব মনে হয়েচে । মনে এরার কেমন একটা অদ্ভূত ধরনের আনন্দ ও উত্তেজনা। কাল পচার সঙ্গে বিকেলে কুঠীর মাঠের দিকে বেড়াতে বেরিয়ে যখন বেলেডাঙায় কামার