পাতা:বিভূতি রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকর্ণ 8XX BB BBB BB BBB BB B BB BBBS BBBB BBB BBiB BDDD আকাশে ঝলমলে রোদ। আকাশের কি অপূৰ্ব্ব নীল রং । আমি রোয়াকের ঠেস বেঞ্চিটাতে বসে লিখচি। সবুজ গাছপালার ডালের ওপরে অয়স্কান্ত মণির মত উজ্জল নীল আকাশ । আজ অনুবর্তন’ বইখানা লেখা শেষ করে কপি পাঠিয়ে দিলাম। গত গ্রীষ্মের ছুটিতে ঘাটশিলায় গিয়েছিলাম দিন দশ-বারো। রোজ ফুলডুংরিতে বেড়াতে যেতুম। একদিন শালবনের মধ্যেও বেড়াতে গিয়েছিলাম। স্ববোধবাবু একদিন এসে রাখামাইন পৰ্য্যন্ত নিয়ে গেল। সুবর্ণরেখা পার হয়ে ধন্‌করি পাহাড়ের দিকে চোখ রেখে বসলুস, কি অদ্ভুত শোভা ! হেঁটে গালুডি এলুম, প্রোফেসর বিশ্বাসের বাড়ি খেয়ে চলে এলুম বাড়ি। বারাকপুরে কল্যাণী ও আমি রোজ নদীর ঘাটে নাইতে যাই দু'বেলা। ওপারে মাধবপুরের চরের দৃপ্ত বড় সুন্দর। অস্তদিগন্তের নানা রঙে রঙিন মেঘস্তুপ ভরা আকাশ যখন মাধবপুরের চরের ওপর ঝুঁকে থাকে, তখন সত্যই অদ্ভুত শোভা হয়। এ সময় এখানে আর এক দৃপ্ত। বিলবিলের জলে সকালে ন'দিদি কাপড় কাচচে, খয়েরখাগী গাছে কাঠাল পাড়া হচ্চে খুড়ীমাদের, সাদা সাদা তেলাকুচো ফুল ফুটেচে খুকুদের লেবু গাছটায়, আমার ঠেস বেঞ্চির পাশে–বেশ পরিচিত দৃপ্ত। তবে এ সময় আষাঢ় মাসের ২১শে পৰ্য্যস্ত কখনো বারাকপুরে আসি নি। ৭৮ই আষাঢ় চলে যাই ফি-বছর । ১৯২৮ সালে কেবল ছিলাম—তারপর আর থাকি নি। যে বছর বোর্ডিংয়ে যাই, তার আগের বছর ছিলাম । বারাকপুরে বর্ষ। দিন যাপনের সৌভাগ্য এই সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে কখনো হয় নি। গৌরীর কথা কাল রাত্রে মনে পড়ল। কল্যাণীর কাছে গৌরীর কথা বল্লুম। এই সময় আমরা কি করতাম, কাল ছিল সেই দিন, যেদিন বহুকাল আগে আমি মাঝের গা থেকে হেঁটে এসেছিলুম, গৌরীকে প্রথম নিয়ে এসেছিলুম এই গারে। কল্যাণীকে কোলাঘাটে নিয়ে যাব সামনের শনিবারে । ও এখন চার-পাচ মাস সেখানে থাকবে । - অনেকদিন পরে আকাঙ্ক্ষিত বারাকপুরের জীবনকে আবার ফিরিয়ে পেয়েচি। বাল্যদিনের পরে এই আবার। এখানে সংসার করচি বহুদিন পরে। নতুন সংসার নতুন ঘরকন্না। এই চেয়ে এসেছিলুম বহুদিন থেকে। এখন আমি জীবনে দর্শকমাত্র নই, জনৈক অভিনেতাও বটে। ওগো সখি, ওগো মোর প্রিয়া, তব স্মৃতিখানি মধুমাখা আঁকা রবে মম হৃদিতলে চিরদিন । বহু প্রীতি ভালবাসা দিয়ে এ জীবনে রাঙাইলে স্বপ্নমাধুরিম, ভুলিবার নহে যাহা কভু । নিশীথের মর্শ্বর বাতাসে, অবিশ্রান্ত বিহগ-কুজনসনে— কত নিশা, কত জ্যোছনা-যামিনী, শরতের শাস্ত সন্ধ্যা—পউষের স্বর্ণরাঙা মধুর বৈকাল আমারে হেরিয়া প্রীতিপূর্ণ হাসিমাথা ডাগর নয়নে সিঞ্চিয়াছ স্বর্গের অমৃত । কত চিল ফেলা অতর্কিতে মোর ঘরে, কিশোরীর কত চঞ্চলত মাঝে মন মম ঘুরিয়া ফিরিবে। বকুলের তলে কত গল্প