পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अ*ाद्भार्गछछ ১০৭ মামীমার তো তাহা ভাবিয়া ঘমে নাই । তিনি জানেন না। বড় মামাতো ভাই পটলকে জিজ্ঞাসা করিল-আমি কবে জন্মেছি জানিস, পটলদা ?•••পটলের বয়স বছর দশেক, সে কি করিয়া জানিবে ? দাদামশায়ের কাছে ঠিকুজি আছে, কিন্তু জিজ্ঞাসা করিতে ভরসা হয় না। " একদিন সীতানাথ পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করিল। তিনি বলিলেন—কেন, সে খোঁজে তোমার কি দরকার ? সে থাকিতে না পারিয়া সোজাসুজি বলিয়াই ফেলিল-আ-আমি ক-কতদিন বচিব, পণ্ডিতমশায় ?••• 戀 সীতানাথ পণ্ডিত অবাক হইয়া তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন - এমন কথা কোন ছেলের মথে কখনও তিনি শানেন নাই। শশীনারায়ণ বড়িয্যেকে ডাকিয়া কহিলেনশুনেছেন ও বড়িয্যেমণীয়, আপনার নাতি কি বলছে ? শশীনারায়ণ শনিয়া বলিলেন—এদিকে তো বেশ ইচড়-পাকা ? দু'মাসের মধ্যে আজও তো দ্বিতীয় নামতা রপ্ত হ'ল না --বলো বারো পোনেরং কত ? কাজলের ভয়কে কেহই বুঝিল না। কাজল ধমক খাইল বটে, কিন্তু ভয় কি তাহাতে যায় ? এক এক সময়ে তাহার মন হাঁপাইয়া ওঠে-কাহাকেও বলিতে পারে না, বুঝাইতে পারে না-এখন যে কি কমে ? এখানে তাহার কথা কেহ শুনিবে না, রাখিবে না তাহা সে বোঝে। তাহার বাবাকে বলিতে পারিলে হয়তো উপায় হইত। ব্যাকালের শেষের দিকে সে দু-একবার জনরে পড়ে। *জর আসিলে উপরের ঘরে একলাটি একটা কিছু টানিয়া গায়ে দিয়া চুপ করিয়া শুইয়া থাকে। কাহারও পায়ের শব্দে মখে তুলিয়া বলে ও মামীম জর এয়েচে আমার--একটা লে-এ-এ-প বে-বের করে দাও না ?--ইচ্ছা করে কেহ কাছে বসে, কিন্তু বাড়ির এত লোক সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত। জরের প্রথম দিকে কিন্তু চমৎকার লাগে, কেমন যেন একটা নেশা, সব কেমন অদ্ভুত লাগে। ঐ জানালার গরাদেতে একটা ডেও-পিপড়ে বেড়াইতেছে, চুনে-কালিতে মিশাইয়া জানালার কবাটে একটা দাড়িওয়ালা মজার মুখ । জানালার বাহিরের নারিকেল গাছে নারিকেলসন্ধ একটা কাদি ভাঙিয়া ঝুলিয়া পড়িয়াছে। নিচে তাহার ছোট মামাতো বোন অর, ‘ভাত ভাত করিয়া চিৎকার শরে করিয়াছে- বেশ ৮াগে। কিন্তু শেষের দিকে বড় কট, গা জবালা করে, হাত-পা ব্যথা করে, সারা শরীর ঝিম্ ঝিম করে, মাথা যেন ভার বোঝা, এ সময় কেহ কাছে আসিয়া যদি বসে ! কাছারির উত্তর গায়ে' পাথের ধারে এক বড়ীর খাবারের দোকান, বারো মাস খুব সকালে উঠিয়া সে তেলেভাজা বেগনি ফুলরি ভজে । কাজল তাহার বাঁধা খরিদার। অনেকবার বকুনি খাইয়াও সে এ লোড় সামলাইতে সমথ হয় নাই। সারিবার দিন দুই পরেই কাজল সেখানে গিয়া হাজির। অনেকক্ষণ সে বসিয়া ব"সয়া ফুলরিভাজা দেখিল, পইপাতার বেগনি, জবাপাতার তিল-পিটুলি । অবশেষে সে অপ্রতিভ মুখে বলে—আমায় পইপাতার বেগনি দাও না দিদিমা ? দেবে ? এই নাও পয়সাটা । . বড় দিতে চায় না, বলে-না খোকা দাদা, সেদিন জর থেকে উঠেছ, তোমার বাড়ির লোকে শনলে আমায় বকবে –কিন্তু কাজলের নিবন্ধাতিশয্যে অবশেষে দিতে হয়। একদিন বিশ্বেখবর মহরীর কাছে ধরা পড়িয়া যায়। বড়ীর দোকান হইতে বাহির হইয়া জবাপাতার তিল-পিটুলির ঠোঙা-হাতে থাইতে খাইতে পকূর পাড় পয'স্ত গিয়াছে— বিশে্বর আসিয়া ঠোঙাটি কাড়িয়া লইয়া ছড়িয়া ফেলিয়া দিয়া বলিল আচ্ছা পাজি ছেলে তো ? আবার ঐ তেলে-ভাজ খাবারগুলো রোজ রোজ খাওয়া ? কাজল বলিল—আমি খা-খা-খাচ্ছি তা তো-তোমার কি ? বিশ্বেশর মহারী হঠাৎ আসিয়া তাহার কান ধরিয়া একটা ঝাঁকুনি দিয়া বলিল-আমার