পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏసి ఆ বিভূতি-রচনাবলী বিয়াল্লিশ বয়স, নাম এ্যাশবাটন । হিমালয়ের জঙ্গলে গাছপালা খুজিতে আসিয়াছে, ছবিও অকে। ভারতবষে এই দুইবার আসিল । স্টেটসম্যানে তাহার লেখা হিমালয়ের উচ্ছসিত বর্ণনা পড়িয়া অপর হোটেলে গিয়া মাস-দই পৰেব* লোকটির সঙ্গে আলাপ করে। এই দ্য মাসের মধ্যে দুজনের বন্ধুত্ব খুব জমিয়া উঠিয়াছে । so সাহেব তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছিল । ফ্রানেলের টিলা সন্ট পরা, মুখে পাইপ, খুব দীঘfাকার, স,শ্রী মুখ, নীল চোখ, কপালের উপরের দিকের চুল খানিকটা উঠিয়া গিয়াছে। অপকে দেখিয়া হাসিমুখে আগাইয়া আসিল, বলিল –দেখ, কাল একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেছিল । ও-রকম কোনদিন হয় নি। কাল একজন বন্ধর সঙ্গে মোটরে কলকাতার বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলাম। একটা জায়গায় গিয়ে বসেছি, কাছে একটা পুকুর, ও-পারে একটা মন্দির, একসার বাঁশগাছ, আর তালগাছ, এমন সময়ে চাঁদ উঠল, আলো আর ছায়ার কি খেলা ! দেখে আর চোখ ফেরাতে পারি নি । মনে হল, Ah, this is the East !--• The eternal East, or off-si-I orig Sos. offi: I <soči,-and pray, who is the Sun ?--- এ্যাশবাটন হো-হো করিয়া হাসিয়া বলিল,--না, শোন, আমি কাশী যাচ্ছি, তোমাকে না নিয়ে আমি যাব না কিন্তু । আসছে হপ্তাতেই যাওয়া যাক চলো । কাশী ! সেখানে সে কেমন করিয়া যাইবে ! কাশীর মাটিতে সে পা দিতে পারবে না । শত-সহস্ৰ-মতি-জড়ানো কাশী, জীবনের ভাণ্ডারের অক্ষয় সঞ্চয়-ও কি যখন-তখন গিয়া নষ্ট করা যায় ! - সেবার পশ্চিম যাইবার সময় মোগলসরাই দিয়া গেল, কিন্তু কাশী যাইবার অত ইচ্ছা সত্ত্বেও যাহতে পারিল না কেন ? “কেন, তাহা অপরকে সে কি করিয়া 'বব্যায় ! -- বন্ধ বলিল, তুমি জাভায় এসো না আমার সঙ্গে ? বরোবন্দরের মেকচ অকিব, তা ছাড়া মাউণ্ট শ্যালাকের বনে যাব । ওয়েস্ট জাভাতে ব্যটি কম হয় বলে ট্রপিক্যাল ফরেস্ট তত জমকালো নয়, কিন্তু ইস্ট জাভার বন দেখলে তুমি ম’ব হবে, তুমি তো বন ভালবাস, এস না !• • • বন্ধর কাছে লীলাদের বাড়ি অনেকদিন আগে দেখা বিয়াব্লিচে দান্তের সেই ছবিটা । অপর বলিল—বতিচেলির, না ? —না । আগে বলত লিওনাডোর-আজকাল ঠিক হয়েছে অশেরাজো ডা প্রেডিস-এর, বাঁতচেলির কে বলল ? লীলা বলিয়াছিল । বেচারী লীলা ! - সপ্তাহের শেষে কিন্তু বন্ধটির আগ্রহ ও অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া - তাহাকে কাশী রওনা হইতে হইল। কাশীতে পরদিন বেলা বারোটার সময় পে"ছিয়া বন্ধকে ক্যাটনমেন্টের এক সাহেবী হোটেলে তুলিয়ু দিল ও নিজে একা করিয়া শহরে ঢুকিয়া গোধলিয়ার মোড়ের কাছে ‘পাবতী আশ্রমে' আসিয়া উঠিল । গোধলিয়ার মোড় হইতে একটু দরে সেই বালিকা বিদ্যালয়টা আজও আছে । ইহারই একটু দরে তাহদের সেই কুলটা ! কোথায় ? একটা গলির মধ্যে ঢুকিল। এখানেই কোথায় যেন ছিল । একটা বাড়ি সে চিনিল। তাহার এক সহপাঠী এই বাড়িতে থাকিত— দু-একবার তাহার সঙ্গে এখানে.আসিয়াছিল । বাসা নয়, নিজেদের বাড়ি । একটি বাঙ্গালী . ভদ্রলোক দাঁড়াইয়া শসা কিনিতেছিল—সে জিজ্ঞাসা করিল—এই বাড়িতে প্রসন্ন বলে একটা ছেলে আছে, জানেন ?—ভদ্রলোক বিস্ময়ের সরে বলিলেন—প্রসন্ন ? ছেলে ?--- অপ সামলাইয়া বলিল--ছেলে না, মানে এই আমাদের বয়সী । কথাটা বালয়া সে অপ্রতিভ