পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত పెళ్సి পারবে ? না হয়, আধাআধি বখরা—খবে লাভের ব্যবসা । প্রথম দিনের সাক্ষাতেই এ সব ? কেমন একটা অপ্রীতিকর মনোভাব লইয়া অপ বাসায় ফিরিল। শেষে কিনা জয়ার দালালী ? প্রথম যৌবনে ছিল চোর, আরও কত কি করিয়াছে, কে খোঁজ রাখে ; এ আর ভাল হইল না ! দিন তিনেক পর একদিন সকালে হরেন আসিয়া হাজির অপর বাসায় । নানা বাজে কথার পর উত্তরপাড়ার জমি লওয়ার কথা পাড়িল । টিউবওয়েল বসাইতে হইবে । কারণ জলের সুবিধা নাই—অপব কত টাকা দিতে পারে ? উঠিবার সময় বলিল—ওহে, তুমি মানিককে কি বই কিনে দেবে বলেছিলে, আমায় বলছিল ! আপ ভাবিয়া দেখিল এরুপ কোন কথা মানিককে সে বলে নাই—যাহা হউক, না হয় দিয়া দিবে এখন । মানিককে বইয়ের দরন টাকা হরেনের হাতে দিয়া দিল । তাহার পর হইতে হরেনের যাতায়াত শরে হইল একটু ঘন ঘন । বাবার সঙ্গে মাঝে মাঝে মানিকও আসিতে লাগিল । কখনও সে আসিয়া বলে, তাহারা বায়স্কোপ দেখিতে যাইবে, টাকা দিন কাকাবাব । কখনও তাহার জনতা নাই, কখনও ছোট খোকার জামা নাই—কখনও তাহার বড় দিদি, ছোট দিদির বায়না । ইহারা আসিলেই দু-তিন টাকার কমে অপর পার হইবার উপায় নাই ৷ হরেনও নানা ছাতায় টাকা চায়, বাড়ি ভাড়া— পল্লীর অসুখ । 輸 একদিন কাজলের একটা সেলুলয়েডের ঘর-সাজানো জাপানী সামরাই পর্তুল খুজিয়া পাওয়া গেল না। তার দিন-দই আগে মানিকের সঙ্গে তার ছোট বোন টে'পি আসিয়াছিল— অনেকক্ষণ পর্তুলটা নাড়াচাড়া করিতেছিল, কাজল দেখিয়াছে। তারপর দিন-দুই আর সেটার খোঁজ নাই, কাজল আজ দেখিল পর্তুলটা নাই । ইহার দিন পনেরা পরে হরেনের বাসায় চায়ের নিমন্ত্রণে গিয়া অপ দেখিল, কাজলের জাপানী পুতুলটা একেবারে সামনেই একটা হ্যারিকেন লন্ঠনের পাশে বসানো । পাছে ইহারা লৎজায় পড়ে তাই সেদিকটা পিছর ফিরিয়া বসিল ও যতক্ষণ রহিল, লন্ঠনটার দিকে আদেী চাহিল না। ভাবিল—যাক গে, খাকী লোভ সামলাতে না পেরে এনেছে, খোকাকে আর একটা কিনে দেবো । উঠিয়া আসিবার সময় মানিক বলিল—মা বললেন, তোর কাকাবাবকে বল—একদিন আমাদের কালীঘাট দেখিয়ে আনতে—সামনের রবিবারে চলন কাকাবাব, আমাদের ছয়টি আছে, আমিও যাব । অপর বেশ কিছ খরচ হইল রুবিবারে । ট্যাক্সিভাড়া, জলখাবার, ছেলেপিলেদের খেলনা ক্লয়, এমন কি বড় মেয়েটির একখানা কাপড় পয্যন্ত । কাজলও গিয়াছিল, সে এই প্রথম কালীঘাট দেখিয়া খাব খুশী ।-- সেদিন নিজের অলক্ষিতে অপর মনে হইল তাহার কবিরাজ বন্ধটি ও তাহার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কথা—তাদের প্রথম জীবনের সেই দারিদ্র্য-সেই পরিশ্রম-কখনওবিশেষ কিছ তো চাহে নাই কোনদিন—বরং কিছল দিতে গেলে ক্ষম হইত। কিন্ত আন্তরিক স্নেহটুকু ছিল তাহার উপর। এখনও ভাবিলে অপর মন উদাস হইয়া পড়ে। বাড়ি ফিরিয়া দেখিল, একটি সতের-আঠারো বছরের ছোকরা তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছে। দেখিতে শনিতে বেশ, সন্দের চোখ-মাখ, একটু লাজক, কথা বলিতে গেলে भन्थ ब्रात्रा इदैज्ञा शान्न । o অপ তাহাকে চিনিল-চাঁপদানীর পণ দিঘড়ীর ছেলে রসিকলাল—যাহাকে সে টাইফয়েড হইতে বাঁচাইয়াছিল। অপ বলিল—রসিক, তুমি আমার বাসা জানলে কি করে ?