পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত ఏకిరి চাপা পড়েছে মশাই— —ওই যে ওখানে একটি ছেলে—আহা মশায়, তখনই হয়ে গিয়েছে—মাথাটা আর নেই— অপ রন্ধশ্বাসে জিজ্ঞাসা করিল—বয়স কত ? —বছর নয় হবে—ভদ্রলোকের ছেলে, বেশ ফস" দেখতে—আহা !— অপর এ প্রশ্নটা কিছতেই মুখ দিয়া বাহির করিতে পারিল না—তাহার গায়ে কি ছিল । কাজল তার নতুন তৈরী খন্দরের শাট পরিয়া এইমাত্র বাহির হইয়া গিয়াছে— কিন্তু এই সময়ে হঠাৎ অপর হাতে পায়ে অদ্ভুত ধরণের বল পাইল—বোধ হয় যে খব ভালবাসে, সে ছাড়া এমন বল আর কেহ পায় না এমন সময়ে । খোকার কাছে এখনি যাইতে হবে –যদি একটুও বাঁচিয়া থাকে—সে বোধ হয় জল খাইবে, হয়ত ভয় পাইয়াছে— ওপারের ফুটপাতে গ্যাসপোস্টের পাশে ট্যাক্সি আসিয়া দাঁড়াইয়াছে, পলিশ আসিয়াছে— ট্যাক্সিতে ধরাধরি করিয়া দেহটা উঠাইতেছে ! অপর ধাক্কা মারিয়া সামনের লোকজনকে হঠাইয়া খানিকটা জায়গা ফাঁকা করিয়া ফেলিল । কিন্ত ফাঁকায় আসিয়া সামনে ট্যাক্সিটার দিকে চাহিয়াই তাহার মাথাটা ঘুরিয়া উঠিল যে, পাশের লোকের কাঁধে নিজের অজ্ঞাতসারে ভর না দিলে সে হয়তো পড়িয়াই যাইত । ট্যাক্সির সামনে ঘুে ভিড় জমিয়াছে তারই মধ্যে দাঁড়াইয়া ডিঙি মারিয়া কাণ্ডটা দেখিবার ব্যথা চেণ্টা করিতেছে-কাজল । অপর ছটিয়া গিয়া ছেলের হাত ধরিল—কাজল ভীত অথচ কৌতুহলী চোখে মৃতদেহটা দেখিবার চেষ্টা করিতেছিল – অপর তাহাকে হাত ধরিয়া লইয়া আসিল ।—কি দেখছিলি ওখানে ?...আয় বাসায়— 輸 অপর অনুভব করিল তাহার মাথা যেন বিমঝিম করিতেছে—সারা দেহে যেন এইমাত্র কে ইলেকট্রিক ব্যাটারির শক লাগাইয়া দিয়াছে। গলির পথে কাজল একটু ইতস্তত করিয়া অপ্রতিভের সরে বলিল—বাবা, গোলমালে আমায় যে সিকিটা দিয়েছিলে চিনি আনতে, কোথায় পড়ে গিয়েচে খ:জে পাই নি । —যাক গে। চিনি নিয়ে চলে আসতে পারতিস কোনকালে—তুই বড় চঞ্চল ছেলে খোকা । দিন দুই পরে সে কি কাজে হ্যারিসন রোড দিয়ে চিৎপরের দিকে ট্রামে চড়িয়া যাইতেছিল, মোড়ের কাছে শীলেদের বাড়ির রোকড়নবিশ রামধনবাবকে ছাতি মাথায় যাইতে দেখিয়া সে তাড়াতাড়ি ট্রাম হইতে নামিল, কাছে গিয়া বলিল, কি রামধনবাব,চিনতে পারেন ? রামধনবাব হাত তুলিয়া নমস্কার করিয়া বলিলেন, আরে অপববাব যে ? তারপর কোথা থেকে আজ এতকাল পরে [ ওঃ আপনি একটু অন্যরকম দেখতে হয়ে গিয়েছেন, তখন ছিলেন ছোকরা— অপ হাসিয়া বলিল—তা বটে। এদিকেও চৌত্ৰিশ পয়ত্রিশ হ’ল—কতকাল আর ছোকরা থাকব—আপনি কোথায় চলেছেন ? —আপিস যাচ্ছি, বেলা প্রায় এগারোটা বাজে—না ? একটু দেরি হয়ে গেল। একদিন আসন না ? কতদিন তো কাজ করেছেন, আপনার পরনো আপিস, হঠাৎ চাকরিটা দিলেন ছেড়ে, তা নইলে আজ এ্যাসিস্ট্যাণ্ট ম্যানেজার হতে পারতেন, হরিচরণবাব মারা গিয়েছেন किना । இ সত্যিই বটে বেলা সাড়ে দশটা। রামধনবাব পরনো দিনের মত ছাতি মাথায়, লংরথের ময়লা ও হাত-ছোঁড়া পাঞ্জাবি গায়ে, ক্যাবিসের জনতা পায়ে দিয়া, অপ, দশ বৎসর .