পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՋԵo विछूउि-द्रष्नावलौ বলেছিলাম তো আমনি ফোঁস করে উঠল—আর কেবল হা বাবা ষো বাবা— —তবে আর তোমার কাছে দিয়েছি কেন হেনা বিবি ? পাকা লোকের কাছে রেখেছি, আজ রাতটা রেখে দাও, রেখে যা পারো করো। আজ আর নিয়ে যাই কোথায় ? এখনো কিছ ঠিক করি নি। প্রভাসের বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, প্রভাস বাড়ি থেকে বেরতে পারছে না। অরণে আজ নাইট-ডিউটি করবে আপিসে । আমি একা — —কেন তুমি একাই একশো বলে যে বন্ড গোমর করো। লবা লবা কথা বলবার সময় হেন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা - এখন কাজের সময়ে হেনা বিবি তুমি করো। আরও টাকা চাই তা বলে দিচ্ছি - —যাহোক, যা বললাম আজকার রাতটা তো রাখো— —ও টকি দেখতে যাবে বলছিল, নিয়ে যাবো ? — দরকার নেই। বাড়ির বার করবার হ্যাঙ্গামা অনেক। ভুলিয়ে রাখো— —কাল সকালে এসো বাপ । কাল আমার থিয়েটার, আমার দ্বারা কাল কোনো কাজ হবে না বলে দিচ্ছি। হেনা মুখ চুন করে শরতের কাছে এসে দাঁড়িয়ে বললে, বড় মশকিল। প্রভাসঠাকুরপোর বাবার বড় অসুখ, এখন যান তখন যান। হঠাৎ অসুখ হয়ে পড়েছে। এই মাত্তর খবর দিয়ে পাঠিয়েছে। শরৎ উদ্বেগের সরে বললে, অসুখ । তা বয়সও তো হযেছে-বাবা বলেন তাঁর চেয়ে দশ-বারো বছরের বড় ! —তা তো বুঝলাম। এদিকে এখন উপায় ! —আজ কি দমদমা যাওয়া হবে না ? ' —কি করে আর যাওয়া হচ্ছে বলো ভাই । প্রভাস-ঠাকুরপোর গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না তো— —কেন ভাড়াটে গাড়ি ? —কে নিয়ে যাবে ? তুমি আমি দুই মেয়েমানুষ । ভাড়াটে গাড়িতে ভরসা করে যাওয়া চলবে না। কাল সকালেই ষা হয় ব্যবস্থা হবে । শরৎদি অগত্যা রাজী হ’ল । না হয়ে উপায় যখন নেই । সখ্যার পরে শরৎকে সঙ্গে নিয়ে হেনা গিয়ে ছাদে উঠল। চারদিকে আলোর কুরকুটি, নিচের রাস্তা দিয়ে সারবন্দী গাড়ি ঘোড়া, মোটর, কমব্যস্ত জনস্রোত, ফিরিওয়ালারা কত কি হে’কে যাচ্ছে, বেলফুলের মালাওয়ালা—“চাই বেলফুলের গোড়ে" বলে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে হকিছে, শরৎ মঙ্ধে চোখে চেয়ে চেয়ে দেখলে । - বললে, সত্যি, শহর বটে কোলকাতা । জায়গার মত জায়গা একথা ঠিক । কি লোকজন, কি আলোর বাহার । আমাদের গাঁ এতক্ষণ অন্ধকার হয়ে ঝি* ঝি* ডাকছে জঙ্গলে । হেনা অবসর বঝে অমনি বললে, আমিও তো তাই বলি, এখানেই কেন থেকে যাও না ? সব বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি। সখে থাকবে, খাও-দাও, আমোদ-আহমাদ করে বেড়াও— শরৎ হেসে বললে, তা তো বুঝলাম। আমার ইচ্ছে করে না যে তা নয়। কিন্তু চলবে কি করে ? বাবা গরীব মানষে— རྒྱུ་རྩལ། উৎসাহের সরে বললে, সব বন্দোবস্ত হয়ে যাবে এখন । তুমি রাজী হয়ে যাও ○ - কি বন্দোবস্ত হবে ? বাবার চাকরি করে দিতে পারা যায় যদি, তবে সব হয় । গড়শিবপরের জঙ্গলে থেকে আমার প্রাণও হাঁপিয়ে উঠেছে—দুদিন এখানে থেকে বাঁচি—