পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

೪oo! বিভূতি-রচনাবলী মিনার কাকমা বলে ও বামনী ওই মিন্টুকে চার পয়সারগরম জিলিপি কিনে এনে দাও তো বাজার থেকে -- বাজারে সকলের সামনে দোকান থেকে জিনিস কেনা শরতের অভোস নেই । চুপি চুপি মিনকে বললে, মিন দিদি, যাবি আমার সঙ্গে ? মিন সব সময়েই তার দিদিকে সাহায্য করতে রাজী। বললে, চলো দিদিজিলিপি কিনে ফিরে আসতেই মিনার কাকীমা বললে, চলো কুণ্ডীতে কাপড়গুলো নিয়ে—সাবানের বাক্স নেও । নেয়ে আসি— মিন পেছন থেকে এসে সাবানের বাক্স নিজেই নিয়ে চলল। চনান শেষ হয়ে গেল। সিক্ত বসনে সবাই উঠে এসে মেয়েদের কাপড় ছাড়বার ঘেরা জায়গার মধ্যে ঢুকল । শরৎও স্নান করে এল । সে লক্ষ্য করল, মিনার কাকীমা ওর দিকে চেয়ে চেয়ে দেখছে। পশ্চিমের জলহাওয়ার গণে হয়তো শরতের বাস্থ্য আরও কিছ ভাল হয়ে থাকবে, তার গোঁর তৃনর জলস আরও খালে থাকবে, সিস্তবসনা দীঘদেহা সে তরণীর মতি" এমন মহিমময়ী দেখাচ্ছিল—যে রাস্তার কত লোক তার দিকে হাঁ করে চেয়ে রইল । মিন অপলক চোখে চেয়ে চেয়ে ভাবলে-দিদি যে বলে তাদের রাজার বংশ, মিথ্যে নয় কথাটা। ওই তো কাকীমা অত সেজেগজে এসেছেন, দিদির পাশে দাঁড়াতে পারেন না— মিনার কাকীমাও বোধ হয় শরতের অভূত রপে কিছুক্ষণের জন্যে মুগ্ধ না হয়ে পারলে না—কারণ সেও খানিকটা শরতের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখলে । সঙ্গে সঙ্গে তার কেমন এক ধরনের ভাব হ'ল মনে—সেই পরাতন মনোভাব, সন্দরী নারীর প্রতি সাধারণ নারীর ঈষা। সে ধমকের সরে বললে, একটু হাত চালিয়ে কাপড় টাপড়গুলো কেচে-টেচে নাও না বাপ, তোমার সব কাজেই ন্যাড়া ব্যাড়া – যেন শরতকে খাটো করে অপমান করে ওর নিজের ময্যাদা আভিজাত্য মাথা চাড়া দিয়ে উঠে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করলে । ফিরবার পথে মিনার কাকীমা বললে, তুমি একটু আগে হেটে যাও বাপ, আমরা আস্তে আস্তে যাচ্ছি –তোমাকে আবার গিয়ে দিদির গরম জল চড়াতে হবে-কাপড়গুলো নিয়ে গিয়ে রোদে দাও গে— বড় এক বোঝা ভিজে কাপড় শরতের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে কাকীমা মিনকে ও নিজের ছেলেমেয়ে দটিকে নিয়ে পিছিয়ে পড়ল । মিন বলল; দিদিকে আজ চমৎকার দেখাচ্ছিল নেয়ে উঠে, না কাকীমা ? • কেন মিন হঠাৎ একথা বললে ? মিনার কাকীমাও বোধ হয় ওই ধরনের কোন কথাই ভাবছিল । হঠাৎ যেন চমকে উঠে মিনর দিকে চেয়ে রইল অলপ একটু সময়ের জন্যে। পরক্ষণেই তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বললে, পরের ঘি-দুধ খেলে অমন সবারই হয় বাপ-তুই চল, নে— বিকেলে আবার বোটি ডাকলে শরতকে । বোঁ নিজে স্টোভ ধরিয়ে চা করে এক পেয়ালা মুখে তুলে চুমকৈ দিচ্ছে, আর একটা ধামায়মান পেয়ালা সামনে বসানো মেঝের ওপর। শরতকে বললে, ও বামনী, দিদিকে চাণ্টা দিয়ে এসো তো ? তার পরের কথাতে শরৎ বড় চমৎকৃত হয়ে গেল কিন্ত । বৌটি বললে, তোমার জন্যেও এক পেয়ালা আছে, ওটা দিদিকে দিয়ে এসো—এসে তুমি શre শরৎ অগত্যা ফিরে এসে কলাইকরা পেয়ালাটা তুলে নিয়ে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছে, বেীটি