পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిO8 दिष्ट्रउि-ग्नानावलौ এখন তাঁথ’ধম্ম করবার সময়, অথচ বাবার অদটে জটলো না কিছল । তিনি গোয়ালপাড়া বাগদিপাড়ায় বেহালা বাজিয়ে, গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন, ফিরে এসে অবেলায় হাত গড়িয়ে রে’ধে খাচ্ছেন কিবা তাও খাচ্ছেন না, কে তাঁকে দেখছে, কে মুখের দিকে চাইবার আছে তাঁর । কাশী গয়া সব তুচ্ছ-কিছ ভাল লাগে না । শরৎ বলে, আচ্ছা রেণুকা, কাশীতে দুজন লোকের কত হলে চলে ? রেণুকা ওর মাখের দিকে চেয়ে বললে, তা কুড়ি টাকার কম তো কোনো মাস যেতে দেখলাম না। আমরা তো দুটো মানুষ থাকি। কেন ভাই ? শরৎ কি ভেবে কি কথা বলছে সে নিজেই জানে না । রেণুকা ভাবে, শরৎ হঠাৎ কি রকম অন্যমনস্ক হয়ে গেল, না কি —আর ভাল করে কথা বলছে না কেন ? বাড়ি ফিরে মিনার কাকীমার কড়া ফাইফরনাশ ও হুকুমের মধ্যে রান্নাঘরে রাঁধতে বসে সে ভাবে তার কোন জীবনটা সত্যি, গড়শিবপুরের ভাঙা গড়-বাড়ির বনের সেই জীবন, না পরের বাড়ির হাড়ি-হোসেলের এ জীবন ? w নয় মিনার কাকীমা শরৎকে প্রায়ই বেরতে দেন না। আজ তিনি যাবেন মিছরৗপোখরায় তাঁর বন্ধর বাড়ি, শরৎকে বাড়ি আগলে বসে থাকতে হবে, কাল তিনি লকসাতে মাসিমার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, শরৎ ছেলেমেয়ে সামলে বাড়ি বসে থাকবে । একদিন মিনার কাকীমা বললে, পটলের বউয়ের ওখানে অত ঘন ঘন যাও কেন ? -- কেন ? —আমি পছন্দ করি নে। ওরা গরীব লোক, আমাদের ভাড়াটে, আত মাখামাখি করা ভাল না ৷ —আমি মিশি, আমিও তো গরীব লোক । এতে আর দোষ কি বলন ? —তুমি বড় মুখে মুখে তক করতে শুরু করেছ দেখছি। পটলের বউ মেয়ে ভাল নয়— তুমি জানো কিছ ? শরৎ এতদিন নিনর কাকীমার কোনো কথার প্রতিবাদ না করে নীরবে সব কাজ করে এসেছে, কিন্তু অন্ধ রেণুকার নামে কটু কথা সে সহ্য করতে পারলে না । বললে—আমি যতদর দেখেছি কোনো বেচাল তো দেখি নি। আমি যদি যাই আপনাকে তাতে কেউ কিছ বলবে না তো ! o —না, আমি চাই আমার বাড়ির চাকরবাকর আমার কথা শুনবে—যাও, রান্নাঘরের দিকে দ্যাখো গে— শরৎ মাথা নামিয়ে রান্নাঘরে চলে গেল । সেখানে গিয়েই সে ক্ষুন্ন অভিমানে কে’দে ফেললে । আজ সে এ-কথার জবাব দিতো মিনার কাকীমার, একবার ভেবেছিল দিয়েই দেবে উত্তর, যা থাকে ভাগ্যে ৷ তবে মথে জবাব না দিলেও কাজে সে দেখালে, মিনার কাকীমার অসঙ্গত হকুম সে মানতে রাজী নয়। রেণুকার বাড়ি সেই দিনই বিকেলের দিকে সে আবার গেল । রেণুকা ওকে পেয়ে সত্যিই বড় খুশী হয়। বললে- ভাই, আজ চলো আমরা নতুন কোনো জায়গায় ঘাই –