পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেদার রাজা రీఫ్పీ শনে খুবই দুঃখিত। শরৎ বলে, ও খোকন বাবা, গরীব মাসীমাকে মনে রাখবি তো বাবা ? খোকন না বাবেই ঘাড় নেড়ে বলে—হ: ! তোমাকে একটা বল কিনে দেবো মাসাঁমা— —সত্যি ? —হ’্যা মাসীমা, ঠিক দেবো । - —আমায় কখনো ভুলে যাবি নে ? বড় হলে মাসীমার বাড়ি যাবি, মড়কী নাড় দেবো ধামি করে, পা ছড়িয়ে বসে খাবি ৷ খোকা ঘাড় নেড়ে বলে—হর । - বক্সীদের বড় বউ ওর নাম ঠিকানা সব লিখে নিলে, খোকনের মার কাছে ওর নাম ঠিকানা রইল । ফেরবার পথে শরৎ গণেশমহল্লার পাগলীর সন্ধানে ইতস্ততঃ চাইতে লাগল, কিন্ত কোথাও তাকে দেখা গেল না। রেণুকাকে বললে, ওই একটা মনে বড় সাধ ছিল, পাগলীকে একদিন ভাল করে রোধে খাওয়াবো—তা কিস্ত হ’ল না। আমি মাইনে বলে কিছু চেয়ে নেবো মিনার কাকীর কাছ থেকে, যদি কিছল দেয় তবে তোর কাছে রেখে যাবো। আমার হয়ে তুই তাকে একদিন খাইয়ে দিস — ■ রেণুকা ধরা গলায় বলে—অীর আমার উপায় কি হবে বললে না যে বড় ? তোমার ছত্র কবে এসে খলছো কাশীতে–শরৎসন্দেরী ছত্র ? গরীব লোক দটো খেয়ে বাঁচি । , শরৎ হেসে ভঙ্গি করে ঘাড় দলিয়ে বললে, আ তোমার মরণ ! এর মধ্যে ভুলে গেলি মুখপড়ী ? শরৎসন্দেরী নয় কেদার ছত্তর— —ও ঠিক, ঠিক । জ্যাঠামশায়ের নামে ছত্র হবে যে ! ভুলে যাই ছাই— —না হলেও তুই যাবি আমাদের দেশে। মস্ত বড় অতিথিশালা আছে। রাজারাজড়ার কান্ড ! সেখানে বারো মাস খাবি, রাজকন্যের সখী হয়ে—কি বলিস ? —উঃ, তা হলে তো বত্তে যাই দিদি ভাই । কবে যেন যাচ্ছি তাই বলো, জোড়ে না বিজোড়ে ? —তা কি কখনো হয় রে পোড়ারমুখী ? জোড়ের পায়রা জোড় ছাড়া করতে গিয়ে পাপের ভাগী হবে কে ? মিনার কাকীমাকে শরৎ বিদায়ের কথা বলতেই সে চমকে উঠল প্রায় আর কি। কেন যাবে, কোথায় যাবে, কার সঙ্গে যাবে—নানা প্রশ্নে শরৎ ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠল । তার কোনো কথাই অবিশ্যি মিনার কাকীমার বিশ্বাস হ’ল না। ওসব চরিত্রের লোকের কথার মধ্যে বারো আনাই মিথ্যে । - শরৎ বললে, আমায় কিছু দেবেন ? যাবার সময় খরচপত্র আছে— —যখন তখন হকুম করলেই কি গেরস্তর ঘরে টাকাকড়ি থাকে ? আমি এখন যদি বলি আমি দিতে পারবো না ? —দেবেন না। আপনারা এতদিন আশ্রয় দিয়েছিলেন এই ঢের । পয়সাকড়ির জন্যে তো ছিলাম না, গৌরী-মা বলে দিয়েছিলেন, সব ঠিক করে দিয়েছিলেন—তাই এখানে ছিলাম। আপনাদের উপকার জীবনে ভুলবো না। মিনার কাকমা শরতের কথা শনে একটু নরমও হ’ল। বললে, তা–তা তো বটেই। তা আচ্ছা দেখি যা পারি দেবো এখন । বিদায়ের দিন শরৎ মিনার কাকীমাকে অবাক করে দিয়ে বাড়ির ছেলেমেয়েদের জন্যে কিছ: না-কিছু খেলনা ও খাবার জিনিস কিনে নিয়ে এল। রেণুকাকে তার ঘরে একখানা লালপাড় বি. র• ৩—২১