পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেদার রাজা లరీల —দেবে কি রাজামশাই ? ওসব লোক বড় কণ্ট দেয় । আমি কাশীতে এক ওস্তাদের কাছে বড় আশা করে যাই । একখানা ভীমপলশ্রীর আস্তাই দিলে অতি কন্টে তো মাসাবধি অন্তরা আর দেয় না। কত খোশামোদ, কেবল বলে, অন্তরা এক মিনিটে নাকি হয়ে যাবে। হায়রান হয়ে গেলাম হাঁটাহটি করে । —পেলে ? —কোথায় পেলাম ? আদায় করা গেল না শেষ পযন্ত । সেই থেকে নাকে-কানে খৎ— ওস্তাদের কাছে আর যাবো না । - —যা হোক চলো দাদা । এ আমাদের গায়ের জামাই—ওকে নিয়ে একদিন মজলিশ করা যাক-অনেক দিন থেকে দেওগান্ধারের খোজ করছি। ধরা যাক চলো—ওখানে কি হচ্ছে ? —মানকচুর চারা লাগিয়ে রাখলাম গোটাকতক । সামনের বছরে এক একটা কচু হবে দেখবেন কত বড় বড় । আপনার ভিটের এ জমিতে একটা মানকচু— —জানি দাদা। ও এখন রাখো, হবে পরে । ও শরৎ-- শরৎ রান্নাঘর থেকে বার হয়ে এসে বললে, কি বাবা ? —আমাদের দুজনকে একটু তেল দ্যাও মা । রান্নার কতদার ? —ওলের ডালনা চড়েছে—নামিয়ে ভাত চড়াবো । তা হলেই হয়ে গেল— –হ’্যা মা, রাজলক্ষয়ী এসেছে ? —না আজ আসে নি এখনো । কেন ? —না বলছিলাম, মখমজে-বাড়ি জামাই এসেছে, ভদ্ৰেশ্বর বাড়ি, কেমন লোক তাই তাকে জিজ্ঞেস করতাম । —সে খোঁজে তোমার কি দরকার ? সে ভাল হোক মন্দ হোক— –তুই তা বুঝবি নে, বুঝাব নে । অন্য কাজ আছে তার কাছে । যদি এর মধ্যে রাজলক্ষী আসে— —মনুখঙ্গে-বাড়ির কোন জামাই বাবা ? আশাদিদির বর ? অাশাদিদির বশরবাড়ি তো ভদেশবর— —তাই হবে । —সে তো বড়ো মানুষ । আশাদিদিকে বিয়ে করেছে দোজপক্ষে— —তোর সে-সব কথায় দরকার কি বাপ ? বড়ো হয়, আরও ভালো । —বলো না, কেন বাবা-~~ --নাঃ, সে শনে কি করবি ? —না আমি শনবো— · —শনবি ? রাগিণী ভূপালী, বাদী গান্ধার, বিবাদী মধ্যম আর নিখাদ–সবাদী ধৈবত—আরও শনবি ? রাগিণী আশাবরী—বাদী— --থাক আর শনে দরকার নেই—নেয়ে এসে ভাত খেয়ে আমায় খোলসা করে দিয়ে যত ইচ্ছে রাগিণী শেখো— বেলা পড়ে গেল। ঘরের তালকাঠের আড়াতে কলাবাদড় ঝুলছে যেমন শরৎ আবাল্য দেখে এসেছে। কেদার ও গোপেশ্বর আহারাদি সেরে অস্তহিত হয়েছেন, মধ্যরাত্রে যদি ফেরেন তবে শরতের সৌভাগ্য। রাজলক্ষীর জন্যে পথ চেয়ে বসে থাকে সে। তবুও দজনে গল্প করে সময় কাটে। রোজ রোজ বাবার এই কান্ড। ভালও লাগে । এমন সময় কে বাইরে থেকে ডাকল—ও শরৎ, শরৎ— वि. झ. ७-२२