পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ÙĜO বিভূতি-রচনাবলী মরে কাঠ হয়ে গিয়েছে অনেকক্ষণ । ওর ঘাড়টা যেন শক্ত হাতে কে মুচড়ে দিয়েছে পিঠের দিকে, সেই মড়েটা ধরের সঙ্গে এক অস্বাভাবিক কোণের সন্টি করেছে। গিরীনের দেহটা যেখানে পড়ে, তার পাশেই মাটিতে ভারি ভারি গোল গোল কিসের দাগ, হাতীর পায়ের দাগের মত ॥“শরতের মাথা ঘরে উঠল, সে চিৎকার করে মচ্ছিতা হয়ে পড়ে গেল । হাত থেকে সন্ধ্যাপ্রদীপ ছিটকে পড়ল বাদড়নখীর জঙ্গলে । k 臺 譬 帕 g এই অবস্হায় অনেক রাত্রে কেদার ও গোপেশ্বর তাকে বিয়ে-বাড়ি থেকে ডাকতে এসে' দেখতে পেলেন । ধরাধরি করে তাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়া হ’ল । লোকজনের হৈ হৈ হ’ল পরদিন। পলিস এল, রাণীদীঘির জঙ্গলে এক চালকবিহীন মোটর গাড়ি পাওয়া গেল। কি ব্যাপার কেউ বুঝতে পারলে না ! সবাই বললে গড়বাড়ির সবাই সারা রাত বিয়ে-বাড়িতে ছিল। মাতৃদেহের ঘাড়ে শক্ত, কঠিন পাঁচটা আঙুলের দাগ যেন লোহার আঙুলের দাগের মত, ঘাড়ের মাংস কেটে বসে গিয়েছে। গোল গোল হাতীর পায়ের মত দাগগুলোই বা কিসের কেউ বুঝতে পারলে না। 锋 豪 盛 : 臀 গড়ের জঙ্গলে ঝিঝি’ পোকা ডাকছে। সন্ধ্যাবেলা । কেদার ঘোর নাস্তিক, কি মনে করে তিনি হস্তপদভগ্ন বারাহী দেবীর পাষাণ মত্তি'র কাছে মাথা নিচু করে দন্ডবৎ করে বললেন, গড়ের রাজবাড়ি যখন সত্যিকার রাজবাড়ি ছিল, তখন শুনেছি তুমি আমাদেরবংশের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ছিলে । আমাদের অবস্হা পড়ে গিয়েছে, অনেক অপরাধ করেছি তোমার কাছে, কিন্ত তুমি আমাদের ভোল নি । এমনি পায়ে রেখো চিরকাল মা—অনেক পুজো আগে খেয়েছ সে কথা ভুলে যেও না যেন।