পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

880 বিভূতি-রচনাবলী আফিসে, সেখান থেকে নাট্যকার যোগেশ চৌধুরীর বাড়ি। রাত দশটায় বাড়ি ফিরলাম। সম্রাট বন্ধ হয়ে পড়েছিলেন এবং গত ১৯২৮ সালে অত বড় অসুখ থেকে উঠে কাব্য হয়েও পড়েছিলেন । মনে পড়ে ১৯১২ সালের কথা, যখন তাঁর দরবার উপলক্ষে আমাদের স্কুলে ভোজ হয়েছিল, আমি তখন বনগ্রাম স্কুলের ছাত্র। সেই উপলক্ষে জীবনে প্রথম বারোঁস্কোপ দেখলাম বনগ্রামে ডেপুটিবাবর বাসার প্রাঙ্গণে । সে সব বাল্যসমতিতে পৰ্য্যবসিত হয়েচে— তারপর দীঘ* চব্বিশ বৎসর কেটে গেল । জীবনের পথে আমিও কতদরে অগ্রসর হয়ে এসোঁচ । বত্তমান প্রিন্স অফ ওয়েলসকে বালক দেখেছি ( ফটোতে অবিশ্যি ), দেখতে দেখতে তাঁর বয়স এখন হোল তেতাল্লিশ বছর । জীবন, বছর, আয় হহে করে কেটে যাচ্চে । বিরাট স্রোতস্বতী এই রহস্যময়ী জীবনধারা, কে জানে একে ? ডিসরেলী বলেছিলেন জীবন সম্বন্ধে "youth is a blunder, maturity is a struggle and old age is a regret’—5Neos. f*IGoos & summing up j of: সত্যি কিনা কে জানে ? কাল রাজপরে অনেকদিন পরে বেশ কাটল । বেলা পড়লে আমি ও ভোবল ধ্বনি ডাক্তারের বাড়ি বসে গল্প করে বোসপুকুরে বেড়াতে গেলাম। তখন কি চমৎকার জ্যোৎস্না উঠেচে, বোসপুকুরের ওপারের নারকেল গাছগুলোর কি রপে ফুটেচে । ফিরবার পথে একটা বাঁধানো পাকুরের ধারে দু-জনে বনে গল্প করলাম। বাঁধা ঘাটটা বড় সদর । এই রাস্তাটার ধার দিয়ে একবার আমি কিশোরী বসর বাড়ি থেকে বোসপকূেরে বেড়াতে এসেছিলাম, তখন মা আছেন,—ওখানে পতুরঘাটে একটা ছেলে এসে জন্টল, সে থাইসিসে ভুগছিল বলে তার বাড়ির লোকে সবসান্ত হয়ে তাকে নৈনিতালে রেখেছিল । সে এসে বললে—এদেশে কোন কিছর ভাল বিষয়ের চচ্চা নেই, এখানে বসে মন টিকচে না। তারপর আমরা গেলাম খকেীদের বাড়ি, সেখানে আহারাদির পরে খলজী পাড়ার লোকের নানা দুঃখের কাহিনী বললে ? মহেন্দুবাবর পনেরো বছরের নাতনীটি বিধবা হয়েছে, তার মাও বিধবা, জায়ের ছেলের গলগ্রহ, কারণ ধীরেন ( ওই ছেলেটির নাম, এক সময়ে ও আমার ছাত্র ছিল ) বাড়ির মধ্যে একমাত্র রোজগারে লোক। ধীরেনের মায়ের কটক্তির জালায় ওদের মা ও মেয়ের জীবন অতিষ্ঠ হয়েচে । তারপর মেয়েটি আবার অন্তঃসত্বা। মা বলে মেয়েকে, তুই বিষ খেয়ে মরে যা, আমি তোকে নিয়ে কি করি । একাদশীর দিন মেয়েটা মরে যাওয়ার যোগাড় হয়। তার ওপর পেটের ছেলে টান ধরে, জলতেন্টায় ও খিদেতে, একাদশীতে বড় কট পেয়েচে। সবাই বলেছিল জল খেতে দাও, মহেন্দুবাবর স্ত্রী ও দেবী দু-জনেই বলেচে, একে তো বাড়ির দই ছেলে (মহেন্দুবাবরে মেজো ও সেজো ছেলে ) এর আগে মারা গিয়েচে, একাদশীতে বাড়ি বসে বিধবা জল খেলে, পাছে আরও কোন অকল্যাণ হয় ! দেবী বলেচে, আমার তো ওই বাচ্চা, আমার সে সাহস হয় না বাবা, জল খাওয়াতে হয় ও মেয়েকে নিয়ে তুমি অন্যত্র যাও । কাজেই মেয়ের জল খাওয়া হয় না। এরা একটা কথা ভুলে যাচ্চে— “By day and by night, year in and year out, century after century, there is going out a colossal broadcast of power which gives real life to all who will enter into it. Normal function of the organism is to act as a receiving set for Life Power. Clear out hatred, malice, lust, fear and all other frictions and you will find that entirely without any other effort